অতি উজ্জ্বল আলো বিপরীতমুখি যানকে ফেলছে বেকায়দায়

দিন যতোই যাচ্ছে, বিজ্ঞানের বদৌলতে ততোই বদলে যাচ্ছে দিনকাল। অল্প জ্বালানিতে অধিক শক্তি, উজ্জ¦ল আলোও এনে দিয়েছে বিজ্ঞান। এর উপকার, অপরকার যে দুটি আছে তা বুঝে না বুঝে অবলীলায় ব্যবহার করতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনাও ডেকে আনছে অনেকে। এর মধ্যে রিচার্জের ব্যাটারি ব্যবহার করে মোটরচালিত রিকশার নাম স্থানীয়ভাবে যেমন দেয়া হয়েছে ইজিবাইক, তেমনই ভ্যানের সাথে ওই শক্তিযুক্ত করেই বলা হচ্ছে, ওটা পাখিভ্যান। এসব ভ্যান, ইজিবাইকের শক্তি যেহেতু নির্দিষ্ট পরিমাণের, সেহেতু যতোটা কম ব্যায়ে উজ্জ্বল আলো পাওয়া যায়, সেই আলোরই ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ ওরা বোঝেই নি, ওই পারদযুক্ত অল্প স্থানে ছড়ানো অতি উজ্জ্বল আলো বিপরীতমুখি যানবাহন চালকের জন্য কতোটা বিপজ্জনক। ওই আলোতে চোখ পড়া মানেই খেই হারানোর উপক্রম। কেউ কেউ হারাচ্ছেও। এ কথা নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না যে, ছোট-বড় প্রায় সব সড়কেই বৈধ-অবৈধ যানের হুড়োহুড়ি। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরই শুধু নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা উপজেলা শহরের চিত্রও অভিন্ন প্রায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও অবৈধযানের ভিড় বাড়ছে রোজ। শ্যালোইঞ্জিনচালিত হরেক নামের অবৈধযানেও যেমন নিরাপদ আলোর ব্যবস্থা নেই, তেমনই ব্যাটারিচালত ইজিবাইক, পাখিভ্যানগুলোতে লাগানো অতি উজ্জ্বল আলোও সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।