ক্রিকেট বোর্ড নিয়ে রিট আবেদনের আদেশ আজ

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান কমিটির কার্যক্রম, বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণসভা (ইজিএম) বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনটি মঙ্গলবার আদেশের জন্য রেখেছে। বিসিবির গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে পাঁচ বছর আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে যে আইনি জটিলতার শুরু হয়, তার ধারাবাহিকতায় রোববার এই রিট আবেদনটি করেছিলেন বিসিবির সাবেক পরিচালক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।  গতকাল সোমবার তার শুনানিতে বিসিবির ও এনএসসির পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মাদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। অ্যাটর্নি জেনারেল ২০১৩ সালে নির্বাচিত বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের চার বছরের ‘সাফল্যের’ কথা তুলে ধরে বলেন, ২০০৮ সালে যে প্রক্রিয়ায় বোর্ডের কাউন্সিলররা নির্বাচিত হয়েছিলেন, বোর্ড গঠন করেছিলেন। ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এই কমিটি গঠন করা হয়। ফলে এই কমিটি আইনতই তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

২০১২ সালে এনএসসি বিসিবির গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের পদক্ষেপ নিলে তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিলেন মোবাশ্বের হোসেন ও বিসিবির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইউসুফ জামিল বাবু। আপিল বিভাগ গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতে রেখে এই বছরই রায় দেয়।

ওই রায়টি তুলে ধরে মাহবুবে আলম বলেন, বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধনের রায়ের সময় আপিল বিভাগ যদি বর্তমান কমিটিকে অকার্যকর বলে গণ্য করত, তাহলে গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতে দিত না। এই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একে ‘নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করার প্রয়াস’ বলে মন্তব্য করেন মাহবুবে আলম।

বর্তমান কমিটি আগামী ২ অক্টোবর এজিএম ও ইজিএম ডেকেছে; তা বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে করা এই রিট আবেদনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়। আপিল বিভাগের রায়কে ‘নিজেদের পক্ষে’ দাবি করে প্রথমে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম এবং এজিএম ও ইজিএমের বৈধতা জানতে চেয়ে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন মোবাশ্বের। নির্ধারিত সময়ে নোটিসের জবাব না পেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন বিসিবির সাবেক এ পরিচালক।