অসহ্য লোডশেডিংয়ে অসহায় হয়ে উঠেছে আলমডাঙ্গার জনজীবন

রহমান মুকুল: ক্রমবর্ধমান লোডশেডিংয়ের কারণে অসহনীয় হয়ে উঠেছে আলমডাঙ্গা এলাকার জনজীবন। ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুতনির্ভর ব্যবসায় ধস নেমেছে। পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অবস্থা মানবেতর। লো-ভোল্টেজের কারণে ফ্রিজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স গৃহ সামগ্রী অচল হয়ে পড়ছে।
এদিকে, ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠেছে লোডশেডিংজনিত দুর্ভোগ। লোডশেডিংয়ের কারণে আলমডাঙ্গা এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। ‘দুই ঘণ্টা আমার, দুই ঘণ্টা তোমার’ নীতিতে এতদিন চললেও কিছুদিন পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ২৪ ঘণ্টায় চলে এই হৃদয় বিদারক লোডশেডিং খেলা। এ খেলায় সব সময়েই জিত হয় লোডশেডিংয়ের। সন্ধ্যার পর লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। আলমডাঙ্গাসহ চুয়াডাঙ্গা জেলায় এখন চলছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ভাদ্রের অসহ্য ভ্যাপসা দহন। এই অবস্থায় এরকম ভয়াবহ লোডশেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। যে রাতে ভ্যাপসা গরম বেশি থাকে সে রাতে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও বহুগুণ বেড়ে যায়। অনেক সময় ১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময়ের ব্যবধানে বিদ্যুত ফিরে আসলেও তা ১০ মিনিটও স্থায়ী হয় না। আবার লাডশেডিং শুরু হয়। ফলে রাতে প্রচ- গরমে দেখা দিচ্ছে গরমজনিত রোগ-বালাই। শিশু ও বয়স্কদের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। তাছাড়া গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মত জনজীবন বিষাক্ত করে তুলেছে অতিমাত্রার লো-ভোল্টেজ। যার কারণে বির্যুতনির্ভর ব্যবসায় নেমেছে ধস। বিদ্যুতনির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা করতে না পেরে প্রতিমাসে গুনতে হচ্ছে লোকসান। অথচ প্রতিমাসেই বাড়ছে বিদ্যুতবিল। অনেকেই বিত্যুতনির্ভর ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই বিদ্যুতনির্ভর ডিজিটাল সামগ্রী অর্থাৎ কম্পিউটারনির্ভর ব্যবসা করতে আগ্রহী হলেও লোডশেডিং আর লো-ভোল্টেজের কারণে সে আগ্রহের আগুনে পানি ঢালতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে বিদ্যুত পাওয়া গেলেও লো-ভোল্টের কারণে কম্পিউটার ওপেন হয় না। এছাড়া লো-ভোল্টেজের কারণে ফ্রিজসহ বিদ্যুতনির্ভর গৃহ সামগ্রী অচল হয়ে পড়েছে। এসকল কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ। প্রচ- লোডশেডিং উপেক্ষা করেই পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। তাদের অবস্থা মানবেতর। আলমডাঙ্গা এলাকার ভয়াবহ লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজ সমস্যা দুরীকরণে যাদের কিছু করার দায়িত্ব ছিলো তাদের ক্রমাগত অবহেলা ও উদাসীনতায় এই সমস্যা ক্রমেই জটিল হচ্ছে বলে গ্রাহক সাধারণকে মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে। লোডশেডিংজনিত জনদুর্ভোগ এখন চরমে।
তাদের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা যদি জনগণের এই ভয়াবহ দুর্ভোগ একটুও উপলদ্ধি করতেন তাহলে এ অসহনীয় দুর্ভোগ এত দীর্ঘ মেয়াদী হতো না। মেহেরপুর বিদ্যুতের বিশেষ বরাদ্দ পেয়েছে। মেহেরপুরের জনপ্রতিনিধি এলাকাবাসীর বিদ্যুতজনিত দুর্ভোগ থেকে রেহাই দিতেই এ বিশেষ বরাদ্ধের সুব্যবস্থা করেছেন বলে জানা যায়। অথচ আমাদের জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।