চুয়াডাঙ্গা যুব উন্নয়নে নানা অনিয়মের অভিযোগ ॥

প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রশিক্ষণার্থীদের আবেদন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষণার্থীদের খাবার প্রদানসহ নানা ক্ষেত্রেই চরম স্বেচ্ছাচারিতা করা হচ্ছে। এ মর্মে অভিযোগ তুলে প্রতিকারের প্রার্থনা জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী প্রশিক্ষণার্থীরা। তারা বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা যুব উন্নয়নের উপপরিচালকের নিকট অনিয়ম নালিশ করতে গেলে তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের গ্রেড কমিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা যুব উন্নয়ন অধিদফতরে তিন মাস মেয়াদী গবাদি পশু হাঁস-মুরগি পালন, প্রাথমিক চিকিৎসা, মৎস্যচাষ ও কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণের আবাসিক প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য তিন ওয়াক্ত খাবারের ব্যবস্থা করে সরকার। জুলাই মাসের পয়লা তারিখ থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের ডাইনিং চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। ১১ জুলাই থেকে চালু করার পর ঈদের ছুটি দেয়া হয় ১১ দিন। আবার শোনা যাচ্ছে ২৮ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণের সমাপনী। সে হিসেবে আবাসিক প্রশিক্ষণার্থীদের খাবার ৯০ দিনের মধ্যে ২৬ দিন দেয়া হয়নি। তাছাড়া সরকার প্রশিক্ষণার্থী প্রতি ৪০ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। সে হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় বর্তমানে ১শ জন প্রশিক্ষণার্থীর জন্য বরাদ্দ থাকে ৪ হাজার টাকা। অথচ বাস্তবে খরচ করা হয় এর অর্ধেকেরও কম। তাছাড়া রান্নার জন্য নিযুক্ত বাবুর্চি বাবুও চলেন ইচ্ছেমতো। থাকেন, থাকেন না। যেদিন থাকেন না সেদিন আবাসিক প্রশিক্ষণার্থীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। তাছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য সরকারের দেয়া বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবে তার হদিস মেলে না। খামার পরিদর্শনের জন্য দেয়া গাড়িটিও উপপরিচালকের ব্যক্তিগত কাজেই বেশি ব্যবহৃত হয়। এসব বিষয় উপপরিচালকের নিকট জানাতে গেলে তিনি উল্টো প্রশিক্ষণার্থীদের গ্রেড কমিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়েছেন। ফলে প্রতিকার চেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর গতকালই লিখিত আবেদন জানিয়েছেন প্রশিক্ষণার্থীরা।
অভিযোগ উত্থাপনকারীরা বলেছেন, সরেজমিন তদন্ত করলেই এসব অভিযোগের প্রমাণ মিলবে। জেলা প্রশাসক দ্রুত হস্তক্ষেপ না করলে অভিযোগ উত্থাপনকারীদের কপালে দুর্ভোগ বেড়ে যেতে পারে।