আনাড়ি চালকের আলমসাধুর চাকায় কেড়ে নিলো শিশু তানিয়ার প্রাণ

আলমডাঙ্গার আঠারখাদায় শোক ॥ ঘাতক চালককে ধরে পুলিশে দেয়ার বদলে আপসের প্রক্রিয়া

স্টাফ রিপোর্টার/বাড়াদি প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার পল্লি আঠারখাদায় আনাড়ি চালকের আলমসাধুর চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ৫ বছর বয়সী তানিয়া খাতুন। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক চালক একই গ্রামের আজগার আলীকে স্থানীয় জনগণ আটক করেছে। নিহত শিশু তানিয়া আঠারখাদার ঘরজামাই তরিকুল ইসলামের মেয়ে। তরিকুলের পৈত্রিকবাড়ি দশমাইল মর্তুজাপুর।
আটক শ্যালোইঞ্জিন চালিত আলমসাধুচালক আজগার আলীর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত শিশু হত্যার অভিযোগের মামলার প্রক্রিয়া করা হলেও গ্রামের মাতবরদের অনেকেই আপসের জোর প্রচেষ্টা শুরু করে। গতরাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দুর্লোভপুর ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই শাহিন হোসেন ওই ঘাতক আলমসাধু চালককে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার চেষ্টা চালান। তবে রাত ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আপসের লক্ষ্যে দরকষাকশি চলছিলো। মামলা হলে শিশু তানিয়ার খাতুনের লাশ আজ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে ময়নাতদন্ত করানো হতে পারে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা আঠারখাদা দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা তরিকুল ইসলামের ৫ বছর বয়সী শিশুকন্যা বাড়ির পাশের রাস্তায় ছিলো। আঠারখাদা থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে আলমসাধু নিয়ে ছুটছিলো আজগার আলী। সে একই গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শিশু তানিয়ার ওপর চালিয়ে দেয়। চাকায় পিষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সেলিমা আক্তার মৃত ঘোষণা করেন। লাশ আঠারখাদায় ফিরিয়ে নেয়া হয়। অপরদিকে ঘাতক আলমসাধু চালকে স্থানীয়রা আটক করে প্রথমে পুলিশে দেয়ার উদ্যোগ নিলেও পরে আপসের প্রস্তাবে কতো টাকায় আপস হবে তা নিয়ে চলতে থাকে দরকশাকষি। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আপসের চেষ্টা অব্যাহত ছিলো।