মহাকর্ষীয় তরঙ্গের গবেষণা পেলো পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণে অবদানের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পেয়েছেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী রেইনার ওয়েইস, ব্যারি সি ব্যারিশ ও কিপ এস থর্ন। গতকাল মঙ্গলবার রয়েল সুইডিশ একাডেমি এই পুরস্কার ঘোষণা করে। স্থান ও সময়ের এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গের ধারণার কথা ১শ বছর আগে বিখ্যাত আপেক্ষিকতা তত্ত্বে তুলে ধরেছিলেন বিজ্ঞানী আইনস্টাইন। এই তিন বিজ্ঞানীর মধ্যে রেইনার ওয়েইস পুরস্কারের ৯ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনোরের অর্ধেক পাবেন, বাকি অর্ধেক পাবেন কিপ থর্ন  ও ব্যারি ব্যারিশ।

এই তিন বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে ২০১৫ সালে প্রথমবার লেজার ইনফারোমিটার গ্রেভিটেশনাল ওয়েভ অবজারভেটরি বা লিগো এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে আইনস্টাইনের মহাকর্ষীয় তরঙ্গ প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়। ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির এমেরিটাস অধ্যাপক রেইনার ওয়েইস এই ধারণার পর্যবেক্ষণের ডিজাইন, বিনিয়োগ ও লিগোর নির্মাণে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক কিপ থর্ন লিগো এক্সপেরিমেন্টে মহাকর্ষীয় তরঙ্গে কী রূপে দেখা যাবে এবং এর সিগন্যাল থেকে কিভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে সেটার ধারণা দিয়েছিলেন।

একই ইন্সটিটিউটের পার্টিকেল পদার্থবিজ্ঞানের এমেরিটাস অধ্যাপক ব্যারি ব্যারিশ লিগো প্রজেক্টকে চলমান রাখায় তাকে নোবেল দেয়া হয়েছে। ১৯৯৪ সালে লিগো প্রজেক্টের দ্বিতীয় পরিচালক হিসেবে যখন ব্যারিশ যোগ দেন তখন সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে ছিলো। কিন্তু ব্যারিশের নেতৃত্বে এর নির্মাণ অব্যাহত থাকে এবং ১৯৯৯ সালের মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়, তিন বছর পরে এর প্রথম তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হয়।