রসায়নের নোবেল পেলেন জ্যাকস জোয়াকিম ও রিচার্ড

মাথাভাঙ্গা মনিটর: রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জ্যাকস দুবোচেট, জোয়াকিম ফ্রাঙ্ক ও রিচার্ড হেন্ডারসন। জীবজ অণুর পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণের কৌশল উদ্ভাবনের জন্য নোবেল পেলেন এই ত্রয়ী। এই তিনজনের মধ্যে সমানভাবে ৮ লাখ ২৫ হাজার সুইডিশ ক্রোনোর ভাগ করে দেয়া হবে। এই ত্রয়ীর উদ্ভাবিত ক্রায়ো ইলেকট্রনিক মাইক্রোস্কপির মাধ্যমে জীবজ অণুর হাই রেজোল্যুশন পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয় প্রথমবারের মতো। এতে প্রাণরসায়নে যুগান্তকারী প্রভাব সৃষ্টি হয়। এর আগে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে শুধুমাত্র মৃত জীবজ অণু পর্যবেক্ষণ করা যেতো কারণ শক্তিশালী ইলেকট্রন রশ্মি জীবিত জীবজ অণুকে মেরে ফেলতো। এমআরসি ল্যাবরেটরি অব মলিকিউলার বায়োলজির স্কটিশ অধ্যাপক রিচার্ড হেন্ডারসন প্রথমবারে এই ধরনের মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে প্রোটিনের জীবজ অণুর ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরি করতে সক্ষম হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মান বংশোদ্ভূত অধ্যাপক জোয়াকিম ফ্রাঙ্ক মাইক্রোস্কপটি সহজভাবে ব্যবহারের উপযোগী করেন। লুজান বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইস অধ্যাপক দুবোচেট জীবজ অণুর দ্রুত হিমায়িতকরণ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। ২০১৩ সালে এই পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার উপযোগী হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা দেহে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ গড়া প্রোটিন থেকে শুরু করে জিকা ভাইরাসের গঠন পর্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। গত বছর আলঝেইমার বা স্মৃতিভংশের জন্য দায়ী এনজাইমের ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করা হয় এই পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতির উদ্ভাবন প্রাণ রসায়নের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও নতুন ঔষধ উদ্ভাবনের পথ উন্মোচিত হয়েছে।