চুয়াডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে চেক বিতরণকালে জেলা প্রশাসক

বৃক্ষরোপণ খেলাধূলা প্রশিক্ষণ প্রদানে আন্তরিক হোন
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ কর্তৃক সাধারণ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক এসএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহামেদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আগে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিলো আড়াইশ মার্কিন ডলার। বর্তমানে দেশে মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১২শ থেকে ১৩শ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এলেও বাংলাদেশের মানুষের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের মাধ্যমে বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান করছেন এবং হাসপাতালে দরিদ্র রোগীদের জন্য প্রাথমিকসেবা, কিডনি ও ক্যান্সার রোগীদের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করে আসছে জাতীয় কল্যাণ পরিষদ। এছাড়াও প্রতি বছর বাংলাদেশে ছোট ছোট স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানসমূহকে আর্থিক অনুদান প্রদান করে। এ অনুদানের অর্থের পরিমাণ খুব বেশি না। এ অনুদানের টাকা অপচয় না করে ছোট ছোট স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে রাস্তার ধারে বৃক্ষরোপণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, অসহায় দরিদ্র নারীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, দরিদ্র রোগীদের আর্থিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মুন্সি আলমগীর হান্নান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। আলমডাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আবু তালেবের উপস্থাপনায় অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিবার পরিকল্পনা অদিফতরের উপপরিচালক মনিরুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ছানোয়ার হোসেন ও এনজিও প্রতিনিধি মরজেম হোসেন। শেষে চুয়াডাঙ্গায় ৩১টি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৩১ হাজার টাকার এবং ৪টি উপজেলা সমাজকল্যাণ পরিষদকে ৫ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন জেলা সমাজসেবা অফিস সহকারী মিজান।