বিদেশি টুকরো

নোবেল শান্তি পুরস্কারে এগিয়ে যারা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: এ বছর চিকিৎসা, পদার্থ ও রসায়নে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা হয়ে গেছে। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় নরওয়ে থেকে ঘোষণা করা হবে বহুল আলোচিত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে- কে পাচ্ছেন এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার।
এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মনোনীতদের মধ্য থেকে চার ব্যক্তি ও দুটি সংস্থাকে এবারের সম্ভাব্য পুরস্কার বিজয়ী মনে করা হচ্ছে। তারা হলেন- ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস; জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল; সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হোয়াইট হেলমেটস; ইরানের পরমাণু চুক্তির মধ্যস্থতাকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি ও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ এবং গাম্বিয়ায় শান্তি স্থাপনে ভূমিকা পালনকারী আঞ্চলিক জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)।

মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সময়ে বাহুবলী দেখলেন নারী

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সময়ে এক নারী ভারতের সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসা সফল সিনেমা বাহুবলী ২ দেখেছেন। দেশটির অন্ধ্র প্রদেশের গুন্তুর জেলার একটি হাসপাতালে ঘটেছে এই ঘটনা। রোগিণী বিনয়া কুমারী একজন জ্যেষ্ঠ হেড নার্স। মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ায় তার অস্ত্রোপচার করা হয়। চেতনাবস্থায় এই অস্ত্রোপচার করা হয় বলে এই পদ্ধতিকে ‘অ্যাওয়েক ব্রেইন সার্জারি’ বলে উল্লেখ করা হয়। এই অস্ত্রোপচার চলার সময়ে তার সামনের স্ক্রিনে বাহুবলী ২-দ্য কনক্ল্যুশন চালিয়ে দেয়া হয়। তাকে প্রযোজ্য ব্যথানাশক দিলেও এই অবস্থায় সম্পূর্ণ সজাগ ছিলেন। নিউরোসার্জন শ্রীনিবাস রেড্ডি বলেন, টিউমারটি তার সেনসরি কর্টেক্স থেকে যখন সরানো হচ্ছিলো তখনও বিনয়া গুণগুণ করে সিনেমার জনপ্রিয় ‘দণ্ডলয়া’ গানটি গাচ্ছিলেন। পুরো অপারেশনটি দেড় ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়, যদিও সিনেমার দৈর্ঘ্য ৩ ঘণ্টা ১৭ মিনিট। অস্ত্রোপচারের ৫ দিন পরে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে যান বিনয়া। এর আগে বেঙ্গালুরুতে এক ব্যক্তিকে গিটার বাজানো অবস্থায় মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়।

সেই সাপটিকে ভেজে খেয়ে ফেললো গ্রামবাসী

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইন্দোনেশিয়ায় মানুষ এবং অজগরের লড়াইয়ে অজগরটির পরাজয় হলে স্থানীয় লোকজন সাপটিকে খেয়ে ফেলে। আর এভাবেই দুর্ভাগ্যজনক পরিসমাপ্তি ঘটে দৈত্যাকৃতির এই অজগরের। শনিবার সুমাত্রার বাতাং গানসাল জেলায় একটি পাম বাগানের রাস্তায় সাপটির মুখোমুখি হন নিরাপত্তা কর্মী রবার্ট নাবাবান। ৮ মিটার (প্রায় ২৬ ফুট) লম্বা সাপটিকে নাবাবান ধরার চেষ্টা করলে সাপটি তাকে আক্রমণ করে। মানুষ আর অজগরের এই লড়াই চলতে থাকে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসীরা অজগরটি মেরে ফেলে। এই লড়াইয়ে মারাত্মক জখম হন নাবাবান। নাবানান কেন অজগরটিকে ধরার চেষ্টা করছিলেন সেটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। কোনো কোনো প্রতিবেদন বলছে যে তিনি গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এমনটা করতে গিয়েছিলেন। আবার অন্য প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তিনি রাস্তা পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন।

কঙ্গনা ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুললেন হৃত্বিক

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কঙ্গনা রানাউত-হৃত্বিক রোশন বিতর্কে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের পর্ব চলছিলই। অভিযোগের পর অভিযোগ শোনা যাচ্ছিলো। কখনও সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলছিলেন কঙ্গনা, কখনও তোপ দাগতে শোনা যাচ্ছিলো অভিনেত্রীর বোনকে। কিন্তু পুরো পর্বটিতেই মুখ বন্ধ রেখেছিলেন একজন। তিনি হলেন বিতর্কের অন্যতম কেন্দ্র হৃত্বিক রোশন। তার আইনজীবী, বাবা রাকেশ রোশন মুখ খুলেছিলেন। এবারই প্রথম তিনি খুললেন। গতকাল বৃহস্পতিবার হৃত্বিক ফেসবুকে একটি লম্বা বিবৃতিও দিয়েছেন এই ঘটনা প্রসঙ্গে। পুরো বিবৃতিতে তিনি কোথাও কঙ্গনার নাম উল্লেখ না করে দাবি করেছেন একতরফা একজন মহিলা যখন সমাজের কোনো পুরুষের বিরুদ্ধে শোষণের অভিযোগ তোলেন, তখন গোটা সমাজব্যবস্থা সেটা বিশ্বাস করে। কারণ প্রত্যেকেরই ধারনা, কেনো একজন মহিলা মিথ্যে বলবে। কিন্তু সত্যিটা সবসময় সেটা হয় না। হৃত্বিক তার লম্বা বিবৃতিতে দাবি করেছেন, তার সাথে কঙ্গনার দীর্ঘ সাত বছরের সম্পর্ক থাকাটা কার্যত অসম্ভব। কারণ, ‘কাইটস’ বা ‘কৃশ-থ্রি’ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তারা একান্তে কখনওই দেখা করেননি। যেহেতু তিনি সৃষ্টিশীল, উদ্ভাবনী এবং গঠনমূলক কাজের সাথে যুক্ত, তাই তার সাথে যুক্ত নয় এমন কিছু নিয়েই মুখ খুলতে তিনি নারাজ।