যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরে গণসংবর্ধনায় সিক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিপন্ন মানবতাকে আশ্রয় দিয়েছি : মিয়ানমারের দিক থেকে যুদ্ধের উসকানি ছিলো

স্টাফ রিপোর্টার: বিপন্ন মানবতাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যদিয়ে বিশ্ব উদার বাংলাদেশকেই দেখল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে বিশিষ্ট নাগরিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সামনে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা ছিলো আমার লক্ষ্য। সেটা আমরা পেরেছি। যারা বাংলাদেশকে দারিদ্র্য ও দুর্যোগের দেশ বলে জানতো তারা আজ ভিন্ন বাংলাদেশকে দেখছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিপন্ন মানবতাকে আশ্রয় দিচ্ছে। মানুষ মানুষের জন্য, আমরা সেটা প্রমাণ করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত থাকলেও রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের মাত্রা দেখে তাদের জন্য বাংলাদেশের দরজা খুলে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার এখন আন্তর্জাতিক চাপে আলোচনায় এসেছে। আমরা আশা করছি, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে পারব। তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তাদের আইডি কার্ড করে দিচ্ছি। তাদের জন্য থাকার ব্যবস্থা, স্যানিটেশন, খাদ্যের ব্যবস্থা করেছি।’ সীমান্ত্মে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর তৎপরতা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশীদের আচরণ দেখে মনে হচ্ছিলো যে, তারা যুদ্ধ চায়। কিন্তু আমরা সতর্ক ছিলাম। কোনো ধরনের উস্কানিতে আমরা পা দেইনি।’ তার সরকারের সফলতার কথা উলেস্নখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটানা দুবার দেশে ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে তাদের কারণে ৭৫-এর পর দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়। আমরা দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। নিজেদের ভাগ্য নয়, আমাদের চাওয়া পাওয়া নেই। জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ১৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভায় যোগদান ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে ভার্জিনিয়া যান তিনি। সেখানে যাওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় একটি হাসপাতালে তার পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার হয়। বুধবার ভার্জিনিয়া থেকে লন্ডন পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে আজ দেশে ফিরলেন শেখ হাসিনা।

গণসংবর্ধনায়ে সিক্ত প্রধানমন্ত্রী: জাতিসংঘ সফর শেষে দেশে ফিরে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত গণসংবর্ধনায় সিক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর সাহসী সিদ্ধান্ত এবং এই সংকটের প্রতি বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিমান বন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে সংক্ষিপ্ত এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিপন্ন মানবতার বাতিঘর’ অভিহিত করেন। ওই অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে প্রথমে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর ফুল দেয়া হয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে। বিশিষ্টজনদের পক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদ ও বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান ফুল দেন প্রধানমন্ত্রীকে। ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজাকে সাথে নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। রামেন্দু মজুমদারের নেতৃত্বে সংস্কৃতিকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এর মধ্যে ছিলেন আতাউর রহমান, গোলাম কুদ্দুস, সারা যাকের প্রমুখ। সাহিত্যিক রাহাত খান, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, কণ্ঠশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের মধ্যে শুভেচ্ছা জানান- প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, আবেদ খান প্রমুখ। এফবিসিসিআই, বিজিএমইএসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রীকে। অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেয়ার পর সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবন্দর থেকে গণভবনের পথে রওনা হন। এই পুরোটা পথে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান। হাতে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে তারা দাঁড়িয়ে ছিলেন সড়কের দুই ধারে। কেউ কেউ গানে গানেও শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনাকে। কোনো ধরনের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করেই এই সংবর্ধনা দেয়ার আশ্বাস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দিলেও বিভিন্ন স্থানে যান চলাচল ব্যাহত হয়। সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে ঢুকলে এসএসএফের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়।

পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানো দেখে কান্না: বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন আটকানোয় অনিশ্চয়তায় পড়েছিল পদ্মা সেতু; নিজস্ব অর্থায়নে কাজ শুরুর পর সেই সেতুর প্রথম স্প্যান বসানোর খবর শুনে আনন্দে কেঁদেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম স্প্যানটি যখন বসানো হয়, তখন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন তিনি। শনিবার দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজের ওই সময়কার অনুভূতি তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তার অনুপস্থিতিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্প্যান বসানোর তারিখ পিছিয়ে দিতে চেয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বারবার মেসেজ পাঠাচ্ছে, ফোনে কথা হচ্ছে, বলছে- আপনার জন্য দেরি করবো। আমি বললাম, না। দেরি করবা না। যুক্তরাষ্ট্র সময় রাত ৩টায় সেতুর স্প্যান বসানোর খবরটি পান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরও মেসেজ পাঠালো, তার সচিবও মেসেজ পাঠালো যে, সুপার স্ট্রাকচারটা বসে গেছে। আমি তো জেগেই ছিলাম। আমি বললাম, আমাকে ছবি পাঠাও। সাথে সাথে সব ছবি এবং ভিডিও ক্লিপ পাঠালো। ওই সময় বসে দেখে সত্যি কথা বলতে কী… আমরা দুই বোন ওখানে কেঁদেছিলাম… রেহানা, আমি… কী যে অপমান, কতো কিছু যে হয়েছে তা বলার মতো না। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের দীর্ঘতম এই সেতুতে অর্থায়ন স্থগিত করেছিলো বিশ্ব ব্যাংক। এই দুর্নীতিতে শেখ হাসিনার পরিবার জড়িত ছিলো বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিলো। শেখ হাসিনা বলেন, আমি, রেহানা, আমাদের ছেলেমেয়ে ওদেরকে নিয়ে… আন্তর্জাতিক সংস্থা দিয়ে বিভিন্নভাবে… কার কী সম্পত্তি, কীভাবে… এমনভাবে তদন্ত করেছে; যেটা মানসিক যন্ত্রণাটা যা দিয়েছে, আমি বলব, মানসিক অত্যাচার করেছে।’ বিশ্বব্যাংকের তোলা দুর্নীতির অভিযোগ আদালতে ভুয়া বলে প্রমাণিত হওয়ার পর তখন সেই অভিযোগকারীদের নানা কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার কথাও বলেন তিনি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের একজন ইন্ট্রিগ্রিটি অফিসার এসে বাংলাদেশের বিভিন্ন অফিসে বলে বেড়াতো; বাংলাদেশের একজনই সব থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত, সেখানে আমার নাম বলত। এখন দেখেছেন; যিনি বেশ লাফাচ্ছিলেন, তারই ৪০ হাজার নথি বের হচ্ছে।’ পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র তদন্ত পর্যবেক্ষণে বিশ্বব্যাংকের হয়ে বাংলাদেশে আসা প্রতিনিধি দলের প্রধান লুই গাব্রিয়েল মোরেনো ওকাম্পোর বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ অনেক অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর থাকাকালে অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং করস্বর্গ (ট্যাক্স হেভেনস) নামে পরিচিত দেশ ও এলাকায় তার কোম্পানি থাকার তথ্য উঠে এসেছে ফাঁস হওয়া নথিতে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে টানাপড়েনের একপর্যায়ে সংস্থাটিকে ‘না’ জানিয়ে দিয়ে ২০১৫ সালে নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকায় এই সেতু তৈরির কাজ শুরু করে সরকার। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে নিজের মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যেও কারও কারও সন্দেহ প্রকাশ করার কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু যে নিজেদের টাকায় করতে পারব; তা অনেকে বিশ্বাস করতে পারেনি, অনেক সিনিয়র কেবিনেট মেম্বাররাও বিশ্বাস করতে পারেনি। সবাই বলতেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ছাড়া কেউ করতে পারবে না। আমি বলতাম, যতদিন না নিজেরা করতে পারব, ততদিন করবই না।’ এখন সেই সেতুর কাজ এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে বিশ্বব্যাংককে ‘জবাব’ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।  ‘আমি এটুকু বলতে পারি, অনেক অপমানের একটা জবাব আমরা দিতে পারলাম।’

সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া কামনা: যুক্তরাষ্ট্রে পিত্তথলির অস্ত্রোপচারের পর দেশে ফিরে আগের মতো পূর্ণোদ্যমে কাজ করার জন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিকিৎসকরা ছয় সপ্তাহ সাবধানে চলাফেরা করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর আকস্মিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচারের খবর আসে। এতে তার দেশে ফেরা কয়েকদিন পিছিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডন হয়ে শনিবার দেশে ফেরেন তিনি। বিমানবন্দরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিউইয়র্কে কাজ করতে করতে হঠাৎ… অনেকদিন থেকেই গলব্লাডারে স্টোন নিয়ে ভুগছিলাম। যখন একটু শরীর খারাপ লাগলো সাথে সাথে জয়ের বাসায় গেলাম। ডাক্তারা সব রেডি করেছিলো। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় থাকেন। তার বাসা থেকেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। অস্ত্রোপচারের পর বোন শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রীর শুশ্রূষা করেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, এর মধ্যে রেহানা চলে এসেছিলো। সব সময় আমার সাথে… খাওয়া টাওয়া নিজেই তৈরি করে আমাকে দিতো।  সফল অস্ত্রোপচারের পর এখন ভালো আছে জানিয়ে চিকিৎসকদের নানা পরামর্শের কথা জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ডাক্তার বলেছে, ছয় সপ্তাহের জন্য একটু সাবধানে থাকতে। ছয় মাস খুব সাবধানে চলাফেরা করতে। নিজের বয়সের কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বৃদ্ধ বয়সে একটু সময় তো লাগবেই। ৭১ বছর বয়স। কাজেই একটু সময় লাগবে। অসুস্থতার কারণে ফেরার তারিখ পেছালেও ঢাকার সাথে নিয়মিত যোগাযোগের পাশাপাশি অনলাইনে গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক কাজও সারছিলেন তিনি। সবার কাছে দোয়া চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবার কাছে দোয়া চাই, সুস্থ হয়ে, সবার সাথে… আবার যেন পূর্ণোদ্যমে কাজ করতে পারি। এখনও করে যাচ্ছি। দোয়া চাই যেন আরও কাজ করে যেতে পারি।