জীবননগর সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অনিয়মের আরও অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর সাব-রেজিস্ট্রার নিতেন্দ্র লাল দাসের বিরুদ্ধে অনিয়মের আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নেতৃত্বে সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গড়ে উঠেছে ঘুষ-বাণিজ্যের অবৈধ সিন্ডিকেট। ঘুষ-বাণিজ্য এখানে ওপেন সিক্রেট। সাব-রেজিস্ট্রার নিতেন্দ্র লাল দাসের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর দুর্নীতির এ মাত্রা সময়ে-অসময়ে ওঠানামা করে। সাব-রেজিস্ট্রার নিতেন্দ্র লাল দাস তার এই ঘুষ বাণিজ্যের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে দলিল লেখকদের ব্যবহার করে আসছেন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে তিনি নানা অন্যায় আবদার দলিল লেখকদের ওপর চাপিয়ে দেন। নিতেন্দ্র লাল দাস প্রায় দু বছর আগে এ অফিসে যোগদান করেন। এর পরপরই সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সরকারি নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে চালু হয় অলিখিত নিয়ম। অভিযোগ রয়েছে গ্রামগঞ্জ থেকে আসা জমি ক্রেতা-বিক্রেতাকে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলিল সম্পাদনা করে দেয়া, কবলা দলিলকে হেবা মূল্যে পরিণত করা, খারিজ কপি ছাড়াই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলিল সম্পাদনা করে দেন সাব-রেজিস্ট্রার। একটি দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জমির হালসনের খাজনা রসিদ ও মূলপর্চা প্রয়োজন হয়। এগুলো ছাড়া সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রি করা কখনোই সম্ভব নয়। কিন্তু একটি বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে, বাড়তি অর্থের বিনিময়ে জীবননগর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে মূলপর্চা ছাড়াই নিয়ম বহির্ভূতভাবে গত ১ জুন থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত শতাধিক দলিল সম্পাদনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ জুন ২৫৭৫ নম্বর দলিলসহ ১৬টি দলিল, ৮ জুন ২৭১৮ নম্বর দলিলসহ ১৪টি দলিল, ১৫ জুন ২৮৬৪ নম্বর দলিলসহ ৯টি দলিল, ২২ জুন ২৫০৩ নম্বর দলিলসহ ৩টি দলিল, ৬ জুলাই ৩০৮৪ নম্বর দলিলসহ ১০টি দলিল, ১৩ জুলাই ৩১৫৭ নম্বর দলিলসহ ১৪টি দলিল, ১৯ জুলাই ৩২৮৭ নম্বর দলিলসহ ১৩টি দলিল, ২৬ জুলাই ৩৪৬৯ নম্বর দলিলসহ ১২টি দলিল এবং ৩ আগস্ট ৩৫৯৪ নম্বর দলিলসহ ১৩টি দলিল সম্পাদনা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা রেজিস্ট্রার খন্দকার জামিলুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আইনত সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম-কানুন ভাঙার কোনো সুযোগ নেই। তবে জীবননগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কোনো অনিয়ম বা ঘুষ বাণিজ্য হয়ে থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।