বিজিবিকে জানিয়ে সীমান্ত সংলগ্ন কৃষি জমিতে কাজ করতে যেতে হবে ক্ষেত মালিকদের

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার ভারত সীমান্তে অবস্থিত কৃষি জমিতে কাজ করতে গিয়ে নানা ঝামেলায় পড়ছিলেন এ উপজেলার কৃষকরা। চোরাচালান প্রতিরোধ করতে গিয়ে বিজিবির সাথে কৃষকদের সৃষ্টি হচ্ছিলো নানা ধরনের সমস্যা। বিষয়টি নিয়ে জীবননগর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভায় একাধিকবার আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু তার পরও নানা ঝামেলায় পড়ছিলেন কৃষকরা। এ অবস্থায় অহেতুক এ ঝামেলা এড়াতে এখন থেকে সীমান্ত সংলগ্ন ক্ষেত মালিকদের নামের তালিকা তৈরি করা হবে। এ তালিকা সংশ্লিষ্ট এলাকার বিজিবি ক্যাম্পে জমা দিয়ে ও বিজিবিকে অবগত করে ক্ষেতে কাজ করতে যেতে হবে সীমান্তের ক্ষেত মালিকদের। গতকাল বুধবার জীবননগর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভায় এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সভায় এ ছাড়াও ফেনসিডিল ও মাদকদ্রব্য চোরাচালান এবং সেবন বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউএনও সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল। তিনি দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন।
সভায় উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, উথলী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মুক্তার, হাসাদাহ ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন, মনোহরপুর ইউপির প্রশাসক উপজেলা পল্লি জীবিকায়ন প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা শামনুর রহমান, কেডিকে ইউপির প্রশাসক উপজেলা সমবায় অফিসার মোতাহার হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি আনোয়ারুল কবির, উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন খান, রাজাপুর বিওপির নায়েক সুবেদার নূরুল আমিন, পুলিশের এসআই শেখ শোয়েব ও জীবননগর সীমান্ত ফাঁড়ির হাবিলদার আনোয়ার হোসেন।