চুয়াডাঙ্গার ধুতুরহাটের কিশোরী কৃষ্ণার ঢাকায় রহস্যজনক মৃত্যু

ঢাকা মেডিকেল কলেজ গেটে অটোরিকশা থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ ধুতুরহাটের কিশোরী কৃষ্ণার ঢাকায় রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। অপরদিকে একই বয়সের এক কিশোরীর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাগান গেটে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিশোরী কৃষ্ণার লাশ কি-না সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের ধুতুরহাট গ্রামের শ্রী মিঠুর মেয়ে শ্রী কৃষ্ণা (১৫) দু বছর আগে কাজের সন্ধানে ঢাকায় যায়। সেখানে মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাড়িতে গৃহপাচারিকার কাজ করতো কৃষ্ণা। গতকাল শুক্রবার ধুতুরহাটে খবর আসে কৃষ্ণা আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের পক্ষে বলা হয়েছে কৃষ্ণা আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

আমাদের ঢাকা অফিস জানিয়েছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাগান গেটে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর (১৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অটোরিকশার চালক ফুলসুর মিয়াকে আটক করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাগানগেটে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। শুক্রবার পর্যন্ত তার পরিচয় জানা যায়নি। লাশ পড়ে আছে হাসপাতাল মর্গে। আজ শনিবার ময়নাতদন্ত হবে বলে মর্গ সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, হাসপাতালের বাগানগেটে রূপালি রঙের একটি প্রাইভেট অটোরিকশার মধ্যে (ঢাকা মেট্রো দ ১১-০৬৯১) লাশটি ছিলো।

চালকের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, মিরপুর-১২ বাস স্টেশন থেকে নারী-পুরুষসহ মোট ৩ জন চাদর দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় এই কিশোরীকে নিয়ে অটোরিকশায় (১৫) উঠে। তখন তারা জানায়, কিশোরী খুবই অসুস্থ, তাই তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চালক তাদের কথামতো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন এবং হাসপাতালের বাগানগেটের ভেতরে সিএনজিটি রাখেন। তখন ওই ৩ যাত্রী চিকিৎসক ডেকে আনার কথা বলে সিএনজিতে কিশোরীকে রেখে ভেতরে চলে যান। এরপর তারা আর ফিরে আসেননি। চালক কিশোরীর লাশ নিয়ে সেখানেই দাঁড়িয়েছিলেন।

বাচ্চু মিয়া বলেন, ওই কিশোরীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাক দিয়ে রক্তও ঝরছিলো। তার পরনে ছিলো রঙিন সালোয়ার কামিজ। তাকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে বলে লাশ দেখে মনে হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং অটোরিকশার চালককে আটক করা হয়েছে। শাহবাগ থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান এসআই বাচ্চু। তবে এ ব্যাপারে শাহবাগ থানায় ফোনে যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার বা থানার ওসিসহ অন্য কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ডিউটি অফিসারের টেলিফোন রিসিভ করেন অন্য একজন। তিনি পরিচয় জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, ডিউটি অফিসার বিশ্রামে আছেন। পরে যোগাযোগ করেন।