মেহেরপুরের পাটকেলপোতায় যাত্রীবাহী লেগুনার চাকা ফেটে খাদে ॥ আহত কমপক্ষে ১২

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পাটকেলপোতা নামকস্থানে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন যাত্রী আহত হয়েছে। মারাত্মক আহত ৯ জনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে একটি লেগুনা ১২-১৪ জন যাত্রী নিয়ে মেহেরপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত ৯টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার পাটকেলপোতা নামকস্থানে পৌঁছুলে লেগুনার সামনের একটি চাকা পাঞ্চার হয়। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটি রাস্তার ধারে উল্টে যায়। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় ঝিনাইদ জেলার ফকিরহাটের খাতের আলীর ছেলে কলা ব্যবসায়ী মিঠু (৩৫), মেহেরপুর সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের সাগর আলী (২৪), অ্যালকো ফার্মাসিটিক্যালের মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ গাংনী উপজেলার ধলা গ্রামের আকিজুর রহমান (৩২), অ্যালকো ফার্মাসিটিক্যালের মেহেরপুরের এসএমপি রাজশাহীর নাজমুল হোসেন (৩৮) মেহেরপুর শহরের বড়বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আবু ইউসুফ মিলন (৫০), মল্লিকপাড়ার মিজানুর রহমান বাবুর মেয়ে বেবি খাতুন (২২), মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের আব্দুল মুজিদের ছেলে রকিবুল ইসলাম (১৮) এবং একই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে রুমন (১৯) ও মোনাখালী গ্রামের রাসেল হোসেনকে (১৬) মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। রকিবুল ও রুমন সেনা বাহিনীর চাকরিতে রিক্রুটের জন্য যশোর সেনা নিবাস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
হাসপাতালে কর্তব্যরত ডা. রাফিক-উন নবী সিয়াম বলেন, রোগীদের অধিকাংশ মাথা-ঘাড়, হাত-পা ও মাজা-পেটে আঘাত ও রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতের মধ্যে ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আহতরা বর্তমানে শংকামুক্ত।
বারাদী ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই বাবলু জানান, দুর্ঘটনা কবলিত নম্বর বিহীন গাড়িটি (লেগুনা) চুয়াডাঙ্গার মালিকের বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই চালক পালিয়ে যায়। লেগুনাটি বর্তমানে বারাদী ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।