সারাদেশে একযোগে থেকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু আজ

চুয়াডাঙ্গা ১৪ কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছে ১৮ হাজার ৯৭৮ পরীক্ষার্থী
স্টাফ রিপোর্টার: চলতি বছরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দেশব্যাপী ২ হাজার ৮শ’ ৩৪টি পরীক্ষা কেন্দ্রে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ২৮ হাজার ৬শ’ ২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮শ’ ২০ জন পরীক্ষার্থী এ দুইটি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে। এরমধ্যে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭শ’ ৭৮ জন ছাত্র এবং ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৪২ জন ছাত্রী রয়েছে। এবার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৯ হাজার ২ শ’ ৬৪ জন বেড়েছে। পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও ৫৬ হাজার ৪৫ জন বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে সংখ্যাও ১শ’টি বাড়ানো হয়েছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১শ’ ৩৩টি। এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৬ হাজার ২শ’ ১২ জন এবং জেডিসি পরীক্ষায় ১৪ হাজার ৩শ’ ৬৭ জন। চুয়াডাঙ্গায় ১৪ কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৯৭৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। আগামী ১৮ নভেম্বর পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা রয়ে ছে। এবারে চুয়াডাঙ্গায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় ১৫ হাজার ২১৭ জন শিক্ষার্থী, জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ১ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থী এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ১ হাজার ৯০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র পরীক্ষার বিশেষ নির্দেশাবলিতে জানিয়েছেন, নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশে ৩০ নম্বর এবং সৃজনশীল (সিকিউ) অংশে ৭০ নম্বরের এবং অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশে ৪০ নম্বর এবং সৃজনশীল (সিকিউ) অংশে ৬০ নম্বরের প্রণীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে হবে। নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কর্ম ও জীবনমুখি শিক্ষা এবং চারু ও কারুকলা বিষয়সমূহ এনসিটিবি’র নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্তনম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। পরীক্ষার্থীগণ পরীক্ষায় সাধারণ সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। কেন্দ্রসচিব ব্যতীত অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইলফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইলফোন আনতে পারবে না।