দোকান মালিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার পঞ্চবার্ষিকী নির্বাচন আজ

ভোটগ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন : ১৫ পদে ৫৩ আসনে ভোটযুদ্ধে ১০৮ জন
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার পঞ্চবার্ষিকী ভোট আজ শুক্রবার। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ করা হবে। মাঝে ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা থাকবে নামাজ ও খাওয়ার বিরতি। গোপন ব্যালটে সমিতির সদস্যরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত করবেন তাদের নেতা। এবারের নির্বাচনে দুটি পূর্ণ প্যানেলের পাশাপাশি সভাপতি ও সদস্য পদে একজন করে মোট ১শ ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ৮টি বুথে ১৬ জন পোলিং অফিসার ভোট গ্রহণ করবেন। নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. সেলিম উদ্দীন খাঁন বলেছেন, ভোট গ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অবাধ নিরপেক্ষ ও শান্তপূর্ণ উৎসবমুখোর পরিবেশে সমিতির ৯শ ৮০ জন সদস্যের সকলেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আমরা আশা করছি।
নির্বাচনে সভাপতি পদে ৩ জন, সিনিয়র সহসভাপতি পদে ৩ জন, সহসভাপতি পদে ৫ আসনে ১০ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন, সহসাধারণ সম্পাদক পদে ৩ আসনে ৬ জন, কোষাধ্যক্ষ পদে ২ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন, দপ্তর সম্পাদক ২ জন, প্রচার সম্পাদক ২ জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ২ জন, ধর্ম ও সমাজসেবক সম্পাদক পদে ২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ২ জন ও কার্যকরী সদস্যপদে ৩৩ আসনে ৬৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। এদের মধ্যে যোগ্যদেরই সদস্যরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন বলে আশাবাদ সচেতনমহলের। অবশ্য এ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণার শেষের দিকে ভোটারদের উপঢোকন দিয়ে প্রভাবিত করার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। জগ দিয়ে ভোট চাওয়ার অভিযোগে যেমন একপক্ষ তুলেছেন, তেমনই গতকাল অপরপক্ষ বলেছেন, খাবারের টোকেন দিয়েও ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে। অবশ্য পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে সচেতন ভোটারদের অনেকেই বলেছেন, যে যাই দিক আর যে যাই নিক না কেন, গোপনে ভোট দেয়ার সময় ভোটাররা নিশ্চয়ই যোগ্য প্রার্থীর প্রতীকেই সিলটা মারবেন। কেন না, ভোটাররা এখন অনেক সচেতন, অনেক দায়িত্বশীল।
সভাপতি পদে ৩ জন হাজি মো. আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন ছাতা প্রতীক, মো. গিয়াস উদ্দীন ঘুড়ি প্রতীক ও মো. সালাউদ্দীন চান্নু জাহাজ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাদের জগলু প্রদীপ প্রতীক ও শামসুল আলম বাবু কুড়েঘর প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে মেতেছেন। সহসভাপতি পদে ৫ আসনে ১০ জন যথাক্রমে নীল রতন সাহা হাতি, হাজি মো. শাহাবুদ্দিন মল্লিক আইফেল টাউয়ার, মহিদুল ইসলাম ভাষা আম, শামসুজ্জামান খোকন দাঁড়িপালœা, শফিউদ্দীন হাতপাখা, মফিজুর রহমান বটগাছ, হাজি হেলাল উদ্দীন আনারস, মশিউর রহমান হেকা টেবিলফ্যান, শহিদুল হক কদর মোরগ, রমজান আলী জোয়ার্দ্দার কাঁঠাল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু বাইসাইকেল ও হাজি মাসুদুর রহমান চেয়ার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। যুগ্মসম্পাদক পদে হাজি মো. সেলিম রেজা খেজুর গাছ, হাজি অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস বাস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সহসাধারণ সম্পাদক পদে ৩ আসনে ৬ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। হাবিল হোসেন জোয়ার্দ্দার বালতি, দেলোয়ার উদ্দীন জোয়ার্দ্দার দুলু লাঙ্গল, নিশিত চক্রবর্তী কেটলি, মশিউর রহমান গরুরগাড়ি, সাইদুর রহমান মই, শামসুল আলম মাস্টার কলস। কোষাধ্যক্ষ পদে ২ জন তহিবুর রহমান জোয়ার্দ্দার বাবু সিংহ ও ওসমান গণি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে রয়েছেন ভোটযুুদ্ধে। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন, নূরুজ্জামান খোকন দোয়েল পাখি ও শওকত হাসান হরিণ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে হেদায়েত উল্লাহ ম-ল চাঁদ প্রতীক ও এসএম শামীম মাসুদ হাঁস প্রতীক নিয়ে মুখোমুখি হয়েছেন। দপ্তর সম্পাদক পদে হাসান সাইফুল্লাহ খালিদ ফাইল কেবিনেট, ফারুক হাসান মালিক টেবিল প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে রয়েছেন। প্রচার সম্পাদক পদে মাফিজুর রহমান মাফি মোবাইল ও শাজাহান আলী হারিকেন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে পবিত্র কুমার আগরওয়ালা বেহালা ও খন্দকার জান্নাতুল ফেরদাউস সৌরভ ঢোল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ধর্ম ও সমাজসেবক সম্পাদক পদে ডা. নাজমুল আলম খান গোলাপ ফুল ও আলাউদ্দীন দেয়ালঘড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ক্রীড়া সম্পাদক পদে মহাসিন রেজা ফুটবল ও রেজাউল হক রেজু বল-ব্যাট প্রতীক নিয়ে রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এছাড়া দুটি প্যানেলে ৩৩ জন করে ৬৬ জন ও ১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোট ৬৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। কার্যকরী সদস্য পদে এএইচএমএম কামাল তুহিন তালা প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে রয়েছেন। এছাড়া কার্যকরী সদস্য আব্দুর রহিম টেবিল ল্যাম্প, জাকির হোসেন লাটিম, আহসান উল্লাহ মামুন পেঁপে, মনিরুজ্জামান মুকুল মোটরসাইকেল, জয়দেব কুমার দেবনাথ পালকি, আব্দুল মালেক বিশ্বকাপ, হামিদুর রশিদ জনি ঈগল, দারুল ইসলাম ফ্যান, আবু সাঈদ মাছ, সুলতান আরেফিন চশমা, আব্দুর রাজ্জাক ইলেকক্ট্রিক মোটর, প্রদীপ কুমার সাধু খাঁ তীর ধনুক, আরিফুজ্জামান মাইক, শফিকুল ইসলাম ঝন্টু জগ, আরিফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল গ্যাস চুলা, মোয়াজ্জেম হোসেন রেলইঞ্জিন, মুর্শেদ কামাল টুপি, জালাল উদ্দীন গ্লাস, আব্দুস সালাম ভুট্টা, রবিউল হক রবি সেলাইমেশিন, সহিদ হোসেন বিশ্বাস কলম, আশাদুজ্জামান শান্তি দুই মিনার, হাজি সাইজুল ইসলাম দোয়াত, ইখতিয়ার হোসেন শহীদ মিনার, মোমিনুল ইসলাম আপেল, আব্দুর রব শেখ ইলেকক্ট্রিক আয়রন, মোশারফ হোসেন রাইচ কুকার, কৃষ্ণ কুমার সাধু খা চাকা, সেলিম রেজা তলোয়ার, গোলাম মেহেদী বই, পাচু গোপাল সাহা ডাব, শরিফুল ইসলাম কুমির, মিন্টু ম-ল বাঘ, মাহফুজুর রহমান জোয়ার্দ্দার মিজাইল মোমবাতি, জাকির হোসেন ক্যামেরা, গোলাম মোস্তফা শেখ মাস্তার পিস্তুল, গিয়াসউদ্দীন বাচ্চু চাবি, মাফিজুর রহমান জোয়ার্দ্দার হাবলু পান, মাহাবুব আলম রিংকু টেলিফোন, কিশোর কুমার কু-ু উড়োজাহাজ, নাজিম উদ্দীন বাল্ব, মো. স্বপন পাউয়ারট্রিলার, আজমল হোসেন ঝড়– ফুলকপি, শাহিদু হাসান ফিরোজ রেললাইন, আব্দুল মালেক ট্রাক, আসলাম আলী লাইফজ্যাকেট, নওশাদ আলী টিউবওয়েল, আব্দুল বারী হাতকুড়াল, নূরুল আমিন হাড়ি, রাশিদুল হক তুষার টেলিভিশন, আতিয়ার রহমান হুইসেল বাঁশি, হাফিজুল হক লাভলু মাইক্রোস্কোপ, দীপঙ্কর দে লেদমেশিন, গোলাম মওলা খান ডুগি তবলা, হাজি মো. রমজান আলী স্কুটার, শেখ পিয়ার মোহম্মাদ ফ্রিজ, আবুল কালাম কলারছড়া, রোকন উদ্দীন মিলো একতারা, টিপু সুলতান মালিক কাইস্তে, আহসান খান উট, জাকির হোসেন টুটুল সুপারম্যান, আশরাফুর রহমান জোয়ার্দ্দার মিলন প্রজাপ্রতি, ইলিয়াস হোসেন টর্চলাইট, বজলুর রহমান কেরামবোর্ড, মাসুম বিশ্বাস বেলচা ও বিপ্লব হোসেন শাপলাফুল।