চুয়াডাঙ্গা কুতুবপুরের কলম আলী গুম হওয়ার ৪ মাস পর জীবিত আটক

শ্বশুর শাশুড়ি স্ত্রী ও শ্যালককে ফাঁসাতে আত্মগোপন: পিতার অপহরণ ও খুন গুম মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: আদালতে মামলায় উল্লেখ মৃত কলম আলীকে জীবিত আটক করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন করে থাকা কলম আলীকে শৈলকুপা উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রাম থেকে পুলিশ আটক করে। কলম আলী তার প্রথম পক্ষের শ্বশুরদেরকে ফাঁসাতে গুম নাটক করেছিলেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের সাত্তার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাত্তার আলীর ছেলে কলম আলী ৮-৯ বছর আগে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মোতালেব বিশ্বাসের মেয়ে সালমা খাতুনকে বিয়ে করেন। এক পর্যায়ে কলম আলী দ্বিতীয় বিয়ে করলে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। পরবর্তীতে কলম আলী দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেন। গত ২৬ জুন প্রথম পক্ষের শ্বশুর মোতালেবসহ তাদের লোকজন এসে কলম আলীকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে কলম নিখোঁজ ছিলেন। পরে ৯ জুলাই কলমকে অপহরণপূর্বক খুন করে গুম করা হয়েছে বলে কলমের পিতা সাত্তার আলী চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় কলমের প্রথম পক্ষের শ্বশুর মোতালেব বিশ্বাস, শাশুড়ি রুকিয়া খাতুন, স্ত্রী সালমা খাতুন ও শ্যালক তানজিল বিশ্বাসকে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, মামলায় উল্লেখ নিহত কলম আলী শৈলকুপা উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করে প্রথম পক্ষের শ্বশুর, শাশুড়ি, স্ত্রী ও শ্যালককে ফাঁসানোর জন্য আত্মগোপন করে ছিলেন। ঝিনাইদহ পুলিশের সহযোগিতায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সেখান থেকে কলম আলীকে আটক করা হয়।