চুয়াডাঙ্গা সিনেমাহলপাড়ার মা মেয়ের পাল্টাপাল্টি নালিশ জামাইকে ধরে পারিবারিক সমঝোতার প্রক্রিয়ায় পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার: মেয়ের বিরুদ্ধে মায়ের অভিযোগ মেয়েরা কেউ কথা শোনে না। ইচ্ছে মতো চলে। স্বামীর চুয়াডাঙ্গা সিনেমাহলপাড়ার ভিটে ছাড়তে বাধ্য করছে। অপরদিকে মেয়ে বিথি ও সুমির পাল্টা নালিশ, পিতা আব্বাস উদ্দিন বছর আগে মারা গেলে মা বিগড়ে যায়। আমাদের মতামত না নিয়ে ইচ্ছে মতো চলে। কথায় কথায় ঝগড়া করে বাপের বাড়ি গিয়ে ওঠে। এখন উল্টো অভিযোগ করছে। মা মেয়ের পাল্টাপাল্টি নালিশে পুলিশ বিভ্রান্ত হলেও তাদের মধ্যে শান্তি ফেরাতে উভয়কেই থানায় বসিয়ে রেখেছে। আজ শনিবার থানাতেই মা মেয়ে ও জামাই শিশিরকে নিয়ে সমঝোতায় বসাতে পারেন। এতে কাটলে কাটতেও পারে ওদের পারিবারিক শনিরদশা। পুলিশের এক সদস্য এরকমই মন্তব্য করে বলেছেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা রূপছায়া সিনেমাহলপাড়ার আব্বাস আলী আনুমানিক ৪ বছর আগে মারা যান। রেখে যান স্ত্রী মমতাজ বেগম ও তিন কন্যা সুমি, বিথি ও নিশিথা। ছোট মেয়ে স্কুলছাত্রী হলেও অপর দু বোন বিয়ে করেছে। মা মমতাজের অভিযোগ ওরা নিজেদের পছন্দে বিয়ে করে সুমি পাংশার শুভকে নিয়ে এবং বিধি নড়াইলের শিশিরকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আস্তানা গেড়ে আমাকে উচ্ছেদের নানা চক্রান্ত করছে। প্রতিবাদ করলে জামাই শিশির শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করেছে। এ অভিযোগ নিয়ে মমতাজ বেগম গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হাজির হন। পিছু পিছু পাল্টা নালিশ নিয়ে থানায় পৌঁছান মেয়ে বিথি। তার অভিযোগ মা মিথ্যা করে আমার স্বামী শিশিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। পুলিশ বলেছে, সত্য মিথ্যা পরে হবে আগে শাশুড়িকে মারধর করা জামাই শিশিরকে ধরতে হবে। গতকালই সন্ধ্যার পর শিশিরকে আটক করে সদর থানায় নেয়া হয়। মা ও মেয়েকেও রাখা হয় থানায়। আজ শনিবার এদের মধ্যে সমঝোতা না হলে শেষ পর্যন্ত জামাই মেয়েকে হাজতে যেতে হতে পারে। পুলিশের তরফে এরকমই মন্তব্য করা হয়েছে।