প্রসূতি খুশির পরিচয় মিলেছে : ভগ্নিপতি ফুসলে করেছে সর্বনাশ

চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর সরে পড়া পরিবারের এখন শ্যাম রাখি না কুল রাখি দশা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর সটকে পড়া প্রসূতি খুশির পরিচয় মিলেছে। তার বাড়ি সত্যি সত্যিই দামুড়হুদার পল্লি দলিয়ারপুরে। বয়স ওর ২৪ নয়, টেনেটুনে হতে পারে ১৪ বছর। অতোটুকু বয়সে অন্তঃসত্ত্বা? তাও আবার বিয়ের আগেই? কে করলো সর্বনাশ? বড় বোনের স্বামী রামনগর সেন্টারপাড়ার ইব্রাহিম। শ্যালিকার সর্বনাশ করা বড় ভগ্নিপতি ইব্রাহিমের দেখা না মিললেও তার স্ত্রী আশাননূর প্রশ্ন ছুড়ে বলেছেন, ঘটনার জন্য শুধু তো আর আমার স্বামীর একা দোষ নয়, ওই ছুড়িরও দোষ না থাকলে কি এমনটি হয়?
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা এক যুবতীকে ডায়রিয়া বলে ভর্তি করানো হয়। সাথে থাকা দু নারী ভর্তি করান। নেয়া ডায়রিয়া ওয়ার্ডে। কিছুক্ষণ পরই প্রসব বেদনা দেখা দেয় খুশির। ফিমেল ডায়রিয়া ওয়ার্ড থেকে তাকে নেয়া হয় প্রসূতি ওয়ার্ডে। রাত ৭টা ৩৬ মিনিটে কন্যাসন্তান প্রসব করে খুশি। রাতে প্রসূতি ওয়ার্ডের মেঝেতেই ছিলো ওরা। পরদিন শুক্রবার সকালে সদ্যভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যাসন্তান রেখে প্রসূতি ও তার সাথে থাকা দু নারী সটকে পড়েন। গতকাল এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। হাসপাতালে ভর্তির সময় ঠিকানা ইব্রাহিমপুর ও নাম খুশি বলে উল্লেখ করা হয়। এরই সূত্র ধরে গতকাল পরিচয় মেলে। তথ্য নিতে গেলে খুশির মা নূরজাহান, নানি রশিদা বেগম বলেন, আমরাই ওকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়েছিলাম। রাতে সন্তান হলো। ওই সন্তান কি করবো তা নিয়ে আলোচনা শুনে এক নার্স বললো কোনো সমস্যা হবে না। তোমরা চলে যাও। আমি ওই সন্তানকে ভালো জায়গায় দিয়ে দেবো। ওই নার্সের কথা শুনেই তো শুক্রবার সকালে হাসপাতাল থেকে আমরা ফিরে আসি। যে ঘটিয়েছে ঘটনা সে আমার বড় মেয়ের স্বামী, আর যে ঘটনার শিকার সে আমার ছোট মেয়ে। নাবালিকা। এখন যেদিকেই দোষ দেখছি সেই দিকেই তো নিজেদেরই ক্ষতি।
খুশি এবারের জেএসসি পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নেয়া হয় হাসপাতালে। অতোটুকু বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হলো বিষয়টি এতোদিন গোপন রাখা হলো কীভাবে? এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিবেশীদের অনেকেই বলেছেন, ওর পেটে টিউমার, হাত পায়ে পানি জমছে বলে প্রচার করতো। অপরদিকে কলাবাড়ি রামনগরের সেন্টারপাড়ার খলিল হোসেনের ছেলে এক সন্তানের জনক ইব্রাহিম সম্পর্কে জানতে গেলে স্থানীয়দের অনেকেরই অভিমত যে, ইব্রাহিম ছেলেটি মাটির দিকে তাকিয়ে রাস্তায় চলে, সেই ইব্রাহিমের এই কাজ? বিশ্বাস করাও তো কঠিন। এদিকে গতপরশু নবজাতককে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের স্টাফ নার্স তৃষ্ণা মনির নিকট রাখা হলেও গতকাল রাখা হয়েছে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। সিফট ইনচার্জরায় পালাক্রমে ওই কন্যা শিশুর দেখভাল করছেন। তবে নবজাতক কন্যাশিশুকে নেয়ার অনেকেই লাইন দিতে শুরু করেছেন।