চুয়াডাঙ্গায় মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হবে

দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা – জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হবে। দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখানোর চেষ্টা করি। বিগত দিনে কি হয়েছে তা হিসেব না করে এবার আগের চেয়ে ভালো হয় সেটা চেষ্টা করবেন। গতকাল সোমবার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবস-২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক এসব মন্তব্য করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভায় পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুর রাজ্জাক, জেলা পরিষদ সচিব নুরজাহান খানম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৃনাল কান্তি দে, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হাসান, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম ও আবু হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার মেজর (অব.) সাইদুর রহমান বীর প্রতিক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম ও এনডিসি সচিত্র রঞ্জন দাসসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দফতরের প্রধানগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ আরো বলেন, বিজয় দিবসের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে জাতীয় পতাকার রং ও মাপ সঠিক নিয়ম পালন করে উত্তোলন করতে হবে। যদি কেউ সঠিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করে বিষয়টি যদি প্রশাসনের নজরে আসে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিজয় দিবসের দিন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সরকারি ছুটি হলেও সরকারি সকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে। ফলে, ওইদিন ব্যক্তিগত কোনো কর্মসূচি থাকলে তা বাতিল করতে হবে। যে সকল প্রতিষ্ঠান ১৪ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটায় মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে না, তাদেরকে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে নামতে দেয়া হবে না। এছাড়া, বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগিদের এখন থেকেই প্র্যাকটিস করাতে হবে। চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, মহান বিজয় দিবসে যার যার যে কাজ আছে তা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিজয় দিবসে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব ১৫টি বিভাগে পুলিশকে কাজ করতে হবে। নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান নির্বিঘেœ করার চেষ্টা থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে পুলিশকে জানাবেন।
মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় দর্শনা রেলগেট থেকে চুয়াডাঙ্গা পর্যন্ত ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা সভা, শিশু একাডেমিতে সঙ্গিত ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে আলোকসজ্জা, সড়কদ্বীপে জাতীয় পতাকা দ্বারা শোভাবর্ধন, ১৬ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসের সূচনা। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৬টায় মহান শহীদ স্মৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ৮টায় পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে পুলিশ ও আনসারদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সিনেমা বিনামূল্যে প্রদর্শন, শিশুদের জন্য পার্ক বিনামূল্যে উম্মুক্ত থাকবে। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশুপরিবার ও অন্ধস্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রীতি ফুটবল, দড়াটানা খেলা, নৌকাবাইচ খেলা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।