চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কে শ্রমিক বহন করা আলমসাধুর পেছনে বাসের ধাক্কা দুর্ঘটনা: আহত ৬ নারী শ্রমিকের মধ্যে আনজিরার মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কে আবারও শ্রমিক বহন করা আলমসাধু দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। নারী শ্রমিকদের বহন করা শ্যালোইঞ্জিন চালিত আলমসাধুর পেছনে ধাক্কা মারে একটি বাস। গতকাল সোমবার সকাল ৬টার দিকে সড়কের উজিরপুর নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় আলমসাধু চালকসহ ৮জন। এদের মধ্যে নারী শ্রমিক আনজিরা বেগম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা আড়াইটার দিকে মারা গেছেন। আনুরা বেগম নামের অপর এক নারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেয়া হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়া আলমসাধু চালক জুমাত আলী ও তার নাতি ছেলে আশিকসহ ৪ নারীকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নিহত আনজিরা বেগম (৪৫) চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার জয়রামপুর ডাক্তারপাড়ার হতদরিদ্র নারী। তার স্বামী রফিকুল ইসলাম কয়েক বছর ধরেই লাপাত্তা। সরকারি খাসজমিতে দু’ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন আনজিরা বেগম। তিনিসহ গ্রামেরই বেশ ক’জন নারী উজিরপুর তাল্লু স্পিনিং মিলের নিকটস্থ সোহেলের তুলামিলে কাজ করেন। গতকাল সোমবার ভোরে ওই কারখানায় কাজের জন্য আনজিরাসহ ৫ নারী গ্রামেরই জুমাত আলীর আলমসাধুযোগে রওনা হয়ে কর্মস্থলের অদূরেই দুর্ঘটনার শিকার হয়। আহত অন্য নারী শ্রমিকরা হলেন- অনিছুর রহমানের স্ত্রী আরজিনা (৪০), জয়নাল আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩৫), মৃত আমির হোসেনের স্ত্রী আনুরা বেগম, মোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী সুখতারাসহ একই গ্রামের মাগরোছন নেছা (৫০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছে, ভোর ৬টার দিকে আলমসাধুযোগে একদল নারি শ্রমিক উজিরপুর তাল্লু স্পিনিং মিলের নিকট পৌছুলে পেছন থেকে ধাক্কা মারে বেপরওয়া গতির বাস ইএন পরিবহন। বাসটি কার্পাসডাঙ্গা থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। আনাড়ি চালক আলমসাধুর পেছনে ধাক্কা দিলে আলমসাধু উল্টে পড়ে যাত্রীরা গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাাতলে নেয়া হয়। এর আগে গত ২৬ মার্চ একই সড়কের জয়রামপুর স্কুলবটগাছ মোড়ে শ্রমিক বহন করা আলমসাধুর পেছনে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক। নিহত হয় ১৩ শ্রমিক। আহত হয় কমপক্ষে ১০ জন। সেই ঘটনার পর একই সড়কে আবারও শ্রমিক বহন করা আলমসাধুর পেছনে বাসের ধাক্কায় ঘটলো হতাহতের ঘটনা। নিহত আনজিরা খাতুনের মৃতদেহ গতকালই নিজ গ্রামে নেয়া হয়। গতকালই দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।