দামুড়হুদার চিৎলা গ্রামে মধ্যবয়সী নারীর রহস্যজনক মৃত্যু দু’দিন পর ঘরের দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার

দামুড়হুদা প্রতিনিধি : দামুড়হুদার চিৎলা গ্রামে হীরামতি (৫০) নামের এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার দু’দিন পর ঘরের দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত হীরামতি চিৎলা নুতনপাড়ার দোবাই প্রবাসী ধনের স্ত্রী। গতকাল সোমবার রাত ১০ টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। আজ মঙ্গলবার নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের চিৎলা গ্রামের বাসিন্দা হীরামতির পৈত্রিক নিবাস মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামে। হীরামতি ও তার স্বামী দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর আগে চিৎলা গ্রামে এসে ভিটে জমি কিনে বসবাস শুরু করে। এর কিছুদিন পর স্বামী নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। হীরামতি তার প্রথম স্বামী নিরুদ্দেশ হওয়ার বেশ কিছুদিন পর চিৎলা নতুনপাড়ার ধনের সাথে ২য় বিয়ে করে। ধনে বর্তমানে দোবাইতে কর্মরত। হীরামতির রবিউল (২৮) নামের একটি ছেলে আছে। সেও মায়ের খোঁজ রাখে না। সে দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কুষ্টিয়াতে বসবাস করে। হীরামতি লোকজনের বাড়িতে কাজ করার পাশাপাশি খেজুর পাতার বিছানা তৈরি করে কোনো মতে জীবিকা নির্বাহ করতো। গত শনিবার রাত ৯ টার দিকে প্রতিবেশী আতিয়ারের বাড়িতে টিভিতে রঙিন রুপভান ছবিও দেখে। হীরামতি বলে ছেলের কাছে যাবো। এ কথা বলার পর নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। দু’দিন পর অর্থাৎ গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর প্রতিবেশীরা হীরামতিকে দেখতে না পেয়ে তার বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করে। তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে উকি মেরে দেখে মরদেহ পড়ে আছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডের থানার ওসি আকরাম হোসেন জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই আমি সরেজমিন পরিদর্শন করি। পরে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রবিউল বাদি হয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছেন। আজ ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের লোকজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।