পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজে উৎসাহ জোগাতে শীর্ষকর্তাদের হাতে ঝাড়ু

স্বেচ্ছাশ্রমে চুয়াডাঙ্গা সদর আধুনিক হাসপাতালের চিত্র বদলে দেয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার: হাসপাতালে কখন যে কার কখন আসতে হয় কে জানে? সকলের জন্যই সম্মিলিতভাবে হাসপাতালের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। এই উপলব্ধি থেকেই চুয়াডাঙ্গা সদর আধুনিক হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নানামুখি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম, নবাগত সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল আলম, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাশীম কবির ঝাড়– হাতে অংশ নিয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাজে উৎসাহ জোগান।
পরিচ্ছন্ন কাজে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নেন। এছাড়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানিফ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জ্যাকি, পৌর ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত অর্ধশতাধিক স্বেচ্ছাসেবক এই কাজে সহায়তা করেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নতুন করে যোগ দিয়েছে ‘বিডি ক্লিন চুয়াডাঙ্গা’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের যৌথ পরিশ্রমে পাল্টে গেছে পুরো হাসপাতালের চিত্র। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কাজের মতো ভালো কাজে অংশ নিতে পেরে সস্তুষ্ট সবাই। পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর স্বপ্ন ‘গ্রিন চুয়াডাঙ্গা, ক্লিন চুয়াডাঙ্গা’ গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তাঁরা।
এ সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, এভাবে সবাই মিলে কাজ করলে পাল্টে যাবে পুরো চুয়াডাঙ্গার চিত্র। স্বেচ্ছাসেবীদের ওই কার্যক্রম হাসপাতালে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এছাড়া রোগী ও রোগীদের সাথে থাকা স্বজনদের দালালদের কবল থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
অভিন্ন মন্তব্য করে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, হাসপাতাল শুধু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করলেই হবে না। রোগী ও রোগীর সাথে থাকা লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাড়াতে হবে সিসি টিভি ক্যামেরা। হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে পুলিশি সহায়তা দেবেন বলে জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজে অংশ নেয়া স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আগে হাসপাতালে এসে অপরিষ্কার পরিবেশে রোগীর সাথে থাকা লোকজনই অসুস্থ হয়ে পড়তো বলে শুনেছি। কিন্তু এখন এ ধরনের অভিযোগ আর নেই। এভাবেই স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে গ্রিন চুয়াডাঙ্গা, ক্লিন চুয়াডাঙ্গা গড়া সম্ভব। এদিকে হাসপাতালে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ফিরে পেয়ে সন্তুষ্টির ঢেকুর তুলছেন রোগীরা। এর আগে হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড এবং শিশু ও গাইনি ওয়ার্ড পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে স্বেচ্ছাসেবকরা।