প্রাইভেট টিউটরের লালসার শিকার ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর পুত্রসন্তান প্রসব

চুয়াডাঙ্গা পীরপুরের চান ৪ মাস ধরে জেলহাজতে : শিগগিরই ডিএনএ পরীক্ষা
স্টাফ রিপোর্টার: প্রাইভেট টিউটরের লালসার শিকার সেই ৫ম শ্রেণির ছাত্রী মা হয়েছে। গতরাত ১১টা ৪০ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ফুটফুটে এক পুত্রসন্তান প্রসব করে সে। অভিযুক্ত প্রাইভেট টিউটর চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আলুকদিয়ার পীরপুর মাঝেপাড়ার চান মিয়া প্রায় ৪ মাস ধরে জেলহাজতে বন্দি রয়েছে। তার অস্বীকার করার কারণে নবজাতকের ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ পূর্বেই আদালত দিয়ে রেখেছেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের পীরপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী তার এক মহল্লার বদিউজ্জামানের ছেলে চানের নিকট প্রাইভেট পড়তে গেলে ধর্ষণের শিকার হয়। প্রাইটে টিউটরের লালসার শিকার ৫ম শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিশোরী অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় গত ১ জুন প্রকাশ পায়। মামলা হয়। অভিযুক্ত লম্পট গ্রাম ছাড়লেও তার লোকজন দরিদ্র ওই কিশোরীর পরিবারকে অব্যাহতভাবে হুমকি দিতে থাকে। আইনগত সহায়তার প্রতিশ্রুতি নিয়ে পাশে দাঁড়ায় চুয়াডাঙ্গার মানবতা ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার বলেছেন, অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে বাড়ি রাখতে না পেরে তার নানিবাড়ি রামনগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানেই ছিলো। এদিকে আনুমানিক পৌনে ৪ মাস আগে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ম এ আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত চান। সেই থেকে সে জেলহাজতেই রয়েছে। তবে তার পক্ষে কিশোরীকে ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে কিশোরীর গর্ভে থাকা সন্তান তার নয় বলে দাবি করে। ফলে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ওই কিশোরীর সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে নবজাতকের সাথে চানের ডিএনএ পারীক্ষা করানোর আদেশ দেন। এরই এক পর্যায়ে গতকাল সন্ধ্যার পর অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর প্রসব বেদনা দেখা দিলে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। রাত ১১টার দিকে ভর্তি করা হয়। ৪০ মিনিটের মাথায় পুত্রসন্তান প্রসব করে কিশোরী। নবজাতক সুস্থ থাকলেও প্রসূতির মাত্রারিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।