কুমিল্লার বোলিঙে ভূপাতিত রাজশাহী

স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটে রাজশাহী কিংস দুই ম্যাচে জয়শূন্য থাকলেও ঢাকায় এসেই জয়ের খাতা খুলেছে। কিন্তু আজ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশি দূর যেতে পারেনি মুশফিকুর রহিমের দল। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৭ উইকেটে মাত্র ১১৫ রানেই থেমে গেছে রাজশাহীর ইনিংস। টস জিতে রাজশাহীকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান কুমিল্লার আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। ৩.৩ ওভারেই ২৩ রান তুলে ভালো শুরুও পেয়েছিলো পদ্মাপাড়ের দলটি। ঠিক তখনই বাজে শট খেলে আউট হন মুমিনুল হক। এরপর থেকে ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক পতন আর ঠেকাতে পারেনি রাজশাহী। ১০.১ ওভারে ৬৯ রান তুলতেই তারা হারায় ৫ উইকেট। আউট হন রনি তালুকদার, মুশফিকুর রহিম, জেমস ফ্রাঙ্কলিন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। রাজশাহীর হয়ে ক্যারিবীয় ওপেনার লেন্ডল সিমন্স শুরুতে যা একটু খেলেছেন। ১ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে ২৩ বলে ৪০ রান করা সিমন্সের কপাল খারাপ। ৫.৪ ওভারে মাংসপেশিতে টান লাগায় ‘আহত অবসর’ হয়ে ফিরে যান তিনি। রাজশাহীর স্কোর তখন ২ উইকেটে ৪৮ রান। শেষ পর্যন্ত সিমন্সই রাজশাহীর সর্বোচ্চ স্কোরার। তিনি আউট হওয়ার পর টানা তিন ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহের পথ থেকে ছিটকে পড়ে মুশফিকের দল। নবম ওভারে আফগান লেগি রশিদ খানের শেষ বলে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ দেন মুশফিক।

পরের ওভারে ফ্রাঙ্কলিনকে তুলে নেন ডোয়াইন ব্রাভো। ঠিক পরের ওভারেই প্রথম বলে ম্যালকম ওয়ালারকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন রশিদ। কিন্তু তাঁর দ্বিতীয় বলটি ফরহাদ রেজার ব্যাট ফাঁকি দিলেও বিপদ ঘটাতে পারেনি। রাজশাহীর ইনিংসে শুরুতে রানের গতি থাকলেও দ্রুত উইকেট পড়ায় শেষ দিকে মন্থর হয়ে এসেছে। প্রথম ৫০ রান তুলতে তারা খেলেছে ৩৬ বল। পরের ৫০ রান তুলতে ৬৯ বল খেলতে হয়েছে তাদের। শেষ ৫ ওভারেও বেশি রান তুলতে পারেনি দলটি। ১৫ ওভার শেষে রাজশাহীর স্কোর ছিলো ৬ উইকেটে ৯১। পরের ৩০ বল থেকে মাত্র ২৪ রান তুলতে পেরেছে মুশফিকের দল।