দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেলো খুলনা

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টোয়েন্টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের পঞ্চম আসরে দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেলো খুলনা টাইটান্স। টুর্নামেন্টের একাদশ ও নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে গতকাল খুলনা টাইটান্স ১৮ রানে হারালো চিটাগং ভাইকিংসকে। তৃতীয় খেলায় খুলনার এটি দ্বিতীয় জয় হলেও, সমানসংখ্যক ম্যাচে দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেলো চিটাগং।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ত্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং-এ নামে খুলনা। ২৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। উপরের সারির তিন ব্যাটসম্যানের কেউই দু’অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। তবে মিডল-অর্ডারে পাঁচ ব্যাটসম্যানের ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭০ রানের লড়াকু স্কোর পায় খুলনা।

শুরুর ধাক্কাটা সামাল দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রিলি রোসৌ ও খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৩৯ রান যোগ করেন তারা। এতে সাহস বেড়ে যায় পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের। তাই ছয় ও সাত নম্বরে নামা আরিফুল হক এবং কালোর্স ব্যাথওয়েট মারমুখী মেজাজে ২১ বলে ৫৫ রান এনে দেন দলকে। আরিফুল ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২৫ বলে ৪০, ব্যাথওয়েট ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৪ বলে ৩০ রান করেন। এছাড়া রোসৌ ২৬ বলে ২৫, মাহমুদুল্লাহ ৩৩ বলে ৪০ ও আর্চার ৪ বলে ১১ রান করেন। চিটাগঙের তাসকিন আহমেদ ৪৩ রানে ৩ উইকেট নেন।

১৭১ রানের লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে শুরুতেই বেকায়দায় পড়ে যায় চিটাগং। প্রথম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। খুলনার পেসার আবু জায়েদ প্রথম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্র্থ বলে বিদায় নেন চিটাগঙের নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড় লুক রঞ্চি ও সৌম্য সরকারকে। রঞ্চি ২ রানে ফিরলেও, শূন্য হাতে ফিরতে হয় সৌম্যকে। এরপর ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেছেন এনামুল হক ও দিলশান মুনাবীরা। কিন্তু ভালো কিছু করতে পারেননি তারা। ৩৮ রানের মধ্যে বিদায় নেন তারা। আনামুল ১৮ ও মুনাবেরা ১০ রান করে ফিরেন। এতে চাপ বেড়ে যায় চিটাগঙের। চাপে পড়ে যাওয়া চিটাগংকে খেলায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে গিয়ে আস্কিং রেট বাড়িয়ে ফেলেন অধিনায়ক পাকিস্তানের মিসবাহ উল হক ও জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা। কারণ পঞ্চম উইকেটে ৫১ বলে ৫৯ রান যোগ করেন তারা। ১০ রানের ব্যবধানে দু’জনই বিদায় নিলে ম্যাচ হার নিশ্চিত হয়ে যায় চিটাগং-এর। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৫২ রান করতে পারে তারা। মিসবাহ ৩৭ বলে ৩০, রাজা ২৭ বলে ৩৭, লুইস রিসি ২২ রান করেন। ৪টি উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান খুলনার আবু জায়েদ।