বড়বাজার থেকে বাসটার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি

চুয়াডাঙ্গায় প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজে ধীরগতি

রফিকুল ইসলাম: চুয়াডাঙ্গার বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বর থেকে বাসটার্মিনাল পর্যন্ত সংস্কার কাজ সর্বাগ্রে বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেহেরপুরের মল্লিকপাড়ার র‌্যাবআরসি প্রাইভেট লিমিটেড, রানা বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড, জহিরুল লিমিটেড জেভি’র কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার। গত ৯ নভেম্বর স্বাক্ষরিত চিঠিটি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকসহ বিভাগীয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার স্বাক্ষরিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের অধীন সদর উপজেলার বেগনগর থেকে মেহেরপুরের দরবেশপুর পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ দশমিক ২৫ কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণসহ উন্নয়ন কাজের কার্যাদেশ গত ২০ জুন প্রদান করা হয়েছে। এ সড়কের ১৮ দশমিক ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মধ্যে বড়বাজার থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ২ দশমিক ২২ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে শহরাংশের উক্ত ২ দশমিক ২২ কিলোমিটাপর সড়কাংশ দ্রুত সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন ও সুশীল সমাজ নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ করেছেন। সে কারণে চুয়াডাঙ্গা শহর অংশের সংস্কার কাজ সর্বাগ্রে বাস্তবায়নের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার চিঠির অনুলিপি অবগতির জন্য খুলনা জোনের সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সওজের যশোর সড়ক সার্কেল তত্ত্বাবধায়ক, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়রকে অবগতির জন্য অনুলিপি দেয়া হয়েছে। একই চিঠিতে অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি জহিরুল ইসলামকে।
দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে যানচলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এ সড়কে ছোটখাট থেকে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত ৫ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠের সামনে সড়কে মালামাল ভর্তি একটি কাভার্ড ট্রাক উল্টে যায়। তবে, মানুষের কোনো ক্ষয়-ক্ষতি না হলেও যানবাহন চলাচলে মানুষকে দূর্ভোগে পড়তে হয়। একইভাবে ঢাকা ও চট্রগ্রামগামী বাস-ট্রাক প্রতিনিয়ত ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারসহ মোটরসাইকেল আরোহীদের চলতে হচ্ছে জীবনের ঝুকি নিয়ে। এছাড়া সড়কটি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের কাছে সাধারণ মানুষ বিভিন্নভাবে জানতে চাই। চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটি ও জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সড়কটি নির্মাণে আলোচনা হয়। তারপরও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সড়কটি নির্মাণে অগ্রগতি না থাকায় অবশেষে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি ইস্যু করতে হয়েছে। এই কাজ আগামী বছরের জুন মানের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এব্যপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্দ জিয়াউল হায়দার বলেন, অফিসের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলেছেন। ২/১ দিনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা শহরের মধ্যে সড়কের কাজ শুরু করবে।