কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ১১ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৭, জাসদ ৩ ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ১জন নির্বাচিত : কোটচাঁদপুরের সব ক’টিতেই নৌকার জয়

৭১২টি অধিকাংশেই আওয়ামী লীগ মনোন প্রার্থীরা নির্বাচিত : সংঘাত সংঘর্ষ প্রভাব বিস্তারের ভোটে নিহত ৯

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ১১ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৭, জাসদ ৩ ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ১জন নির্বাচিত : কোটচাঁদপুরের সব কটিতেই নৌকার জয়

স্টাফ রিপোর্টার: প্রভাব বিস্তার, সংঘাত-সংঘর্ষ-গোলাগুলি, ভোট জালিয়াতি, অনিয়ম, ছিনতাই, কেন্দ্র দখলসহ নানা অঘটনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের ৭১২টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট। গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ ভোটে সারাদেশে এক আনসার সদস্যসহ অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনিত প্রার্থী। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের প্রথম দফায় ঘোষিত তফসিল ভুক্ত ৫ ইউনিয়নের সব ক’টিতেই নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। পাবনাতেও অভিন্ন চিত্র। এদিকে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নে ব্যালট বাক্স ছিনতাইকালে সংঘর্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ১১ জন আহত হয়েছেন।  খুলনা জেলার ৬৭টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৪৬টি, বিএনপি ৫, জামায়াতে ইসলামী ১ ও ১৪ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

হাতিয়ায় সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ধানিসাফা ইউপিতে ভোট ছিনতাইকালে বিজিবির গুলিতে অন্তত ৫ জনসহ (মতান্তরে ৬ জন) ঝালকাঠি সদর, বানারিপাড়া ও নেত্রকোনার খালিয়াজুরি ও কক্সবাজারের টেকনাফে একজন করে নিহত হয়েছে। বিভিন্নস্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ছিলো না পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এজন্য ভোটের কেন্দ্রে পেশিশক্তি মহড়া ছিলো। দেড় শতাধিক প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।

প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যানুযায়ী, সরকারি দলের প্রার্থীদের অন্যায় প্রভাব, হুমকি, হামলার কারণে ভোটকেন্দ্রের কাছে ঘেঁষতে পারেননি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোটাররা। আওয়ামী লীগের প্রভাব বলয়ে সংঘর্ষ, আতঙ্ক এবং আরো সংঘর্ষের শঙ্কার মধ্যদিয়ে দিন পার করেন নির্বাচনী এলাকার জনগণ। ফলে অনেক ভোটকেন্দ্রেই ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা একদিকে যেমনি ভোটকেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়েছে, অন্যদিকে প্রতিপক্ষের ওপর হামলায় আক্রমণাত্মক ভূমিকায় ছিলো।

কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা জানিয়েছেন, কোটচাঁদপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এলাঙ্গী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিজানুর রহমান খান ৪০৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি’র মো. আব্দুর রাজ্জাক ৪০৩১ ভোট পেয়েছেন।  কুশনা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল হান্নান ৬০৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি’র লিয়াকত আলী পেয়েছেন ৫৪০৬ ভোট। বলুহর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল মতিন ৪৯৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহালম পেয়েছেন ৪৩৩৮ ভোট। সাবদালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. নওশের আলী নাসির ৬৮৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি’র মো. মিজানুর রহমান খান পেয়েছেন ৫০৪৯ ভোট। দোড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস ৪৮৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক পেয়েছেন ৩২০৮ ভোট।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৭, জাসদ ৩ ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ১জন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বেসরকারিভাবে ঘোষিত নির্বাচিতরা হলেন- বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নে সোহেল রানা (নৌকা), তালবাড়ীয়া ইউনিয়নে আব্দুল হান্নান (নৌকা), বারুইপাড়া ইউনিয়নে সাইদুর রহমান (মশাল), ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে হাজি আব্দুস সালাম (নৌকা), আমলা ইউনিয়নে আনোয়ারুল ইসলাম মালিথা (নৌকা), সদরপুর ইউনিয়নে রবিউল হক রবি (নৌকা), মালিহাদ ইউনিয়নে আলমগীর হোসেন (নৌকা), আমবাড়ীয়া ইউনিয়নে মশিউর রহমান মিলন (মশাল), কুর্শা ইউনিয়নে ওমর আলী (মশাল), ছাতিয়ান ইউনিয়নে জসীম উদ্দিন বিশ্বাস (নৌকা), পোড়াদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ফারুকুজ্জামান জন (আনারস) মার্কা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন।

পোড়াদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার পোড়াদহ ইউনিয়নে তেঘরিয়া গ্রামে দু গ্রুপের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তেঘরিয়া আইডিয়াল হাই স্কুল কেন্দ্রে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে গণনার সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান বিশ্বাসের সমর্থকরা ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এ সময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুকুজ্জামান জনের সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আক্কাস আলী (৩৫), আশরাফ (৪৯), আক্তার (৪৫), লালন (২৭), সাইদুল (৩৭), রাসেল (১৮), আব্দুস সালাম (৪১), সেলিম (২৮) ও আহত রশিদ (৩০), আরিফকে (১২) কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম জানান, ব্যালট বাক্স রক্ষায় ও দু পক্ষের সংঘর্ষ এড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত পুলিশও শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে কাদের গুলিতে এরা আহত হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি তিনি।

প্রসঙ্গত, এ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুকুজ্জামান জন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানান উপজেলা নির্বাচন কমিশনার আব্দুল আজিজ মোল্লা।

যশোরের মণিরামপুরে ১৬ ইউনিয়নের মধ্যে ১১টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল। আর একই দলের বিদ্রোহী পেয়েছে ২টি। এ ছাড়া বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে ৩ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিতরা হলেন- রোহিতা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনসার আলী বিশ্বাস, কাশিমনগর ইউনিয়নে বিএনপি দলীয় প্রার্থী জিএম আহাদ আলী, ভোজগাঁতী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুর্গাপদ সিংহ, হরিদাসকাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিপদ ভঞ্জন পাঁড়ে, মণিরামপুর সদর ইউনিয়নে বিএনপির নিস্তার ফারুক, খেদাপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সরদার মুজিবর রহমান (আনারস), ঝাপা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শামছুল হক মন্টু, মশ্মিমনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবুল ইসলাম, চালুয়াহাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আব্দুল হামিদ সরদার (আনারস), শ্যামকুড় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনিরুজ্জামান মনি, খানপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের গাজী মোহাম্মদ, দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (৮ম বারের মতো নির্বাচিত) সরদার বাহাদুর আলী, কুলটিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শেখর চন্দ্র রায়, নেহালপুর ইউনিয়নে বিএনপির নাজমুস সাদাত ও মনোহরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মশিয়ুর রহমান মাস্টার।

পাবনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে গতকাল মঙ্গলবার ২২ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য পাবনার বেড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৯ প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এরা হলেন- ঢালারচর ইউনিয়নে কোরবান আলী সরদার (আওয়ামীলীগ), মাসুমদিয়ায় মো. মিরোজ হোসেন (আওয়ামী লীগ), পুরান ভারেঙ্গায় এ এম রফিকুল্লাহ (আওয়ামী লীগ), জাতসাখিনী ইউনিয়নে  মো. রেজাউল হক মিয়া বাবু (আওয়ামী লীগ), রূপপুর ইউনিয়ওন মো. আবুল হাশেম উজ্জ্বল (আওয়ামী লীগ), নতুন ভারেঙ্গায় মো. আমজাদ হোসেন (আওয়ামী লীগ), চাকলায় মো. ফারুখ হোসেন (আওয়ামী লীগ), কৈটলায় মো. শওকত ওসমান (আওয়ামী লীগ) এবং হাটুরিয়া নাকালিয়ায়  মো. মোস্তাফিজুর রহমান (আওয়ামী লীগ)।

এদিকে ৭১২টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে প্রায় ৭ হাজার কেন্দ্রের মধ্যে ৬৫টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত পাওয়া খবরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে ইসি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ সংখ্যা বেড়ে শতাধিক হতে পারে। এদিকে যেসব জায়গায় ভোট স্থগিত রয়েছে, সেইসব জায়গায় প্রিসাইডিং অফিসারকে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ৭১২টির সব কটিতে কারচুপি, কেন্দ্র দখল, জালভোটের অভিযোগ থাকলেও দৃষ্টান্ত হিসেবে অন্তত ৫০টি ইউপির ভোট বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সাথে বৈঠককালে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল এ দাবি জানায়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মো শাহজাহান, ক্যাপ্টেন সুজাউদ্দিন, মনিরুল হক চৌধুরী। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ইউপি নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, প্রার্থীদের ওপর হামলা ও হুমকির অভিযোগ করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। তারা ৩৫টি ইউপিতে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ধানিশাপা ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় ৫ জন নিহত ও অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ধানিশাপা ডিগ্রি কলেজ মাঠ ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ফজলুল হক মাতুব্বরের ছেলে সোহেল (২৫), মজিদ হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেন (৩০), সাইদুল মৃধার ছেলে কামরুল মৃধা (২৫), সোলায়মান (২৫) ও বেলাল হোসেন (২৮)। এদের মধ্যে সোহেল ও শাহাদাত ধানিশাপা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হারুন তালুকদারের ভাগিনা। নিহত অন্যরাও তার সমর্থক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভোট শেষে ওই কেন্দ্রে গণনার এক পর্যায়ে হারুন তালুকদারের নৌকা প্রতীকের ৭৪৬টি ভোট চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে দিয়ে তাকে বিজয়ী করার খবর বের হয়। এরপর হারুন তালুকদারের লোকজন ওই কেন্দ্র গিয়ে প্রতিবাদ জানালে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্রের ম্যাজিস্ট্রেট কাজী জিয়াউলকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই সোহেল, শাহাদাত ও কামরুল নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও ৭ জন। আহতদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) নেয়ার পথে সোলায়মান ও বেলাল মারা যান। বাকি আহতদের মঠবাড়িয়া ও শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আসার পর ম্যাজিস্ট্রেট কাজী জিয়াউলকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় এলাকায় থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৩৬টিতে আওয়ামী লীগ, ৩৪টিতে বিএনপি, ৪টিতে জাতীয় পার্টি, অন্যান্য দল ৭টিতে এবং সতন্ত্র প্রার্থী ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।