সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া চুয়াডাঙ্গার নার্সারী ব্যবসায়ী নজরুলের খোঁজ মিলেছে

র‌্যাব ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ : গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় অপহৃত নার্সারি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে র‌্যাব ক্যাম্প থেকে ফেরত এনেছে পরিবারের সদস্যরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নজরুল ইসলামের অভিযোগ তার ওপর র‌্যাবের সদস্যরা নির্যাতন চালিয়েছেন। তবে র‌্যাবের দাবি নজরুল একজন প্রতারক। অন্য একটি স্থান থেকে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা ইসলামপাড়ার মৃত ইসাহক আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম নার্সারি ব্যবসায়ী। গত বুধবার দুপুরে মাথায় পিস্তল ধরে চুয়াডাঙ্গার সোহাগ নার্সারি থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ৬জন অস্ত্রধারী। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন নজরুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নজরুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। এ সময় জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘র‌্যাব বুধবার সাদা পোশাকে তার মাথায় পিস্তল ধরে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো। মাইক্রোবাসে তুলেই তার ওপর নির্যাতন শুরু করেন তারা। পেছনে হাত ও কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। র‌্যাব ক্যাম্পে নিয়ে তার পায়ে বিদ্যুৎ শক দেয়া হয়।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে রাজবাড়ীর কালুখালী এলাকার মফিজ উদ্দিন প্রফেসারের সঙ্গে এক সময় আমার ঝামেলা হয়। তার ভাই একজন র‌্যাবের অফিসার বলে তিনি প্রায়ই ভয় দেখাতেন। তার ষড়যন্ত্রেই আমাকে র‌্যাব তুলে নিয়ে যায়।’ নজরুল ইসলামের মেয়ে শোভা খাতুন জানান, ‘আমরা ঝিনাইদহে গিয়ে র‌্যাব ক্যাম্প থেকে আমার পিতাকে চুয়াডাঙ্গায় এনে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. আউলিয়ার রহমান মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ‘নজরুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে টর্চারের চিহ্ন রয়েছে। পায়ের পাতায় বিদ্যুৎ শকের দাগ দেখা যাচ্ছে।’ এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ‘নজরুল ইসলামকে কারা তুলে এনেছিলো জানি না। তবে আমরা তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি।’ নজরুলের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, নজরুল ভালো লোক নয়। ব্যবসায়িকভাবে বিভিন্ন মানুষ তার কাছে প্রতারিত হয়েছে। এ ধরনের অনেক অভিযোগ আছে আমাদের কাছে।’