গাংনীতে বৃদ্ধের শেষ অবলম্বন দু’টি গরু চুরি

গাংনী প্রতিনিধ: আগে শুনতাম ‘চোরেরও ধর্ম আছে’। এখন কি তাও নেই। দুটি গরুর একটি রেখে গেলে তা বুকে নিয়েই বাঁচতাম। এখন আমি কিভাবে সংসার চালাবো। কথাগুলো বলছিলেন মেহেরপুর গাংনী উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের বয়োবৃদ্ধ বলাই দাস। গতপরশু বৃহস্পতিবার রাতে তার গোয়াল থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের দুটি গরু চুরি হয়। দরিদ্র-অসহায় বলাই দাস ঘুরে দাঁড়ানোর অবলম্বন হারিয়ে এখন পাগলপ্রায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ষোলটাকা ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের বয়োবৃদ্ধ বলাই দাস কিছুদিন আগে দুটি গরুর বাছুর কেনেন। গরু মোটাতাজা করে ঋণ পরিশোধ ও সংসারের খরচ মেটানোর আশায় বুক বেধেছিলেন বলাই দাস। বাছুর দুটি ছিলো বেশ নাদুস-নুদুস। আর এতেই চোরের নজরে পড়ে। গতপরশু বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির লোকজন ঘুমিয়ে পড়লে গরু দুটি চুরি হয়। সকালে গোয়ালে গরু না পেয়ে বুক চাপড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বলাই ও তার পরিবারের লোকজন।
লাল ও ছাইয়ে রংয়ের গরু দুটির আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিক টাকা বলে জানা গেছে। গরুর শোকে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে শুধুই প্রলাপ বকছেন বলাই দাস।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে ওই পরিবার কোনো অভিযোগ করেনি। তারপরেও চোর চিহ্নিত করে গরু উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।