পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে নতুন ইতিহাস আফগানিস্তানের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ক্রিকেটে আফগানিস্তান এখন টেস্টের বনেদি পরিবারের সদস্য। টেস্ট মর্যাদাটা পাওয়া হয়ে গেছে কিছুদিন আগেই। তারা এখন অপেক্ষায় ঐতিহাসিক অভিষেকের। কিন্তু এর আগেই নতুন এক ইতিহাস গড়েছে দেশটির আসছে প্রজন্মের ক্রিকেটাররা। গতকাল পাকিস্তানকে হারিয়ে মালয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা। কুয়ালালামপুরের ফাইনালে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি পাকিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে আফগানিস্তানের গড়া ২৪৮ রানের সংগ্রহ তাড়া করতে গিয়ে পাকিস্তান গুঁড়িয়ে গেছে ৬৩ রানেই। ১৮৫ রানের বিরাট জয়ে ক্রিকেটে নিজেদের আগমনী বার্তাটা উচ্চ স্বরেই জানিয়ে রাখলো আফগানরা। গ্রুপ পর্যায়েও পাকিস্তানকে ৫৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে জয় তুলে নিয়েছিল আফগানিস্তান।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দৃঢ়তার সঙ্গে খেলেছেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। ৬১ রানের ওপেনিং জুটির পর দারুণ এক সেঞ্চুরি উপহার দেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ইকরাম আলী খিল। ১১৩ বলে ১০ চার ও ২ ছয়ে ১০৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। খিলের পাশাপাশি রহমতউল্লাহ গুবরাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের যথাক্রমে ৪০ ও ৩৬ রানের দুটি ইনিংস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সংগ্রহটা আরও বড় হতে পারত, কিন্তু মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সেটি আড়াই শ পার হয়নি।

সেই আক্ষেপটা পুরোপুরি ভুলিয়ে দেন আফগান বোলাররা। ২৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন শুরু থেকেই দিশেহারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে তাদের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ৬৩ রানেই। আফগানিস্তানের মুজিব ১৩ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট কাইস আহমেদ নিয়েছেন ১৮ রানে ৩ উইকেট। গত বৃহস্পতিবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বৃষ্টি-দুর্ভাগ্যে পাকিস্তানের কাছে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের ২৭৪ রানের জবাবে পাকিস্তান ৩৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৯ রান তুলতেই বৃষ্টি নামে। এরপর আর খেলা না হওয়ায় ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে পাকিস্তানকে ২ রানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে ভারতকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পা রেখেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।