ডা. রানার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবু হাসান মো. ওয়াহেদ রানার বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার রাতে শিশু ওয়ার্ডে রোগী গুরতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কয়েকবার ডাকা হলেও তিনি জাননি বলে অভিযোগ তোলা।
অভিযোগ ও হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের কালুপোল পশ্চিমপাড়ার জহুরুল ইসলামের একমাস বয়সী শিশুপুত্র জিসান নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। গতপরশু শনিবার সকাল ৮টার দিকে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওইদিন আনুমানিক রাত ১২টার দিকে শিশুপুত্র জিসানের শারীরিক অবস্থার অবণতি হলে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.আবু হাসান মো.ওয়াহেদ রানা জরুরি বিভাগের শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। সেখানে জরুরি বিভাগের অন্যরা ডা. রানার কক্ষে যান। বেরিয়ে এসে বলেন, এখানে হবে না তাকে শিশু চিকিৎসকের নিকট নিয়ে আসেন। জিসানকে আবার দ্রুত নেয়া হয় শিশু ওয়ার্ডে। ঘণ্টা খানিকের মাথায় জিসানকে আবারো নেয়া হয় জরুরি বিভাগে। ডা. রানা ঘুম থেকে না উঠে সহকারীদের দ্বারা একই উত্তর দেন তিনি। জহুরুল ইসলাম কাঁদতে কাঁদতে আবার ছুটে যান শিশু ওয়ার্ডে। এবার জহুরুল ইসলাম শিশু ওয়ার্ডের এক সেবিকাকে সাথে নিয়ে আবারো জরুরি বিভাগে আসেন। এবার ডা. রানা শিশু জিসানকে না দেখেই শয়নকক্ষ থেকে সহকারীদের মাধ্যমে বলেন। রোগীর অবস্থা যদি খারাপ হয় তাহলে ওর চিকিৎসাপত্র নিয়ে এসো ওকে রেফার করে দিই। ওর চিকিৎসা এখানে হবে না। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.আবু হাসান মো.ওয়াহেদ রানা একবারের জন্য হলেও তার শয়নকক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেননি এবং রোগীও দেখেননি।
এদিকে ভোর হতে না হতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন বিষয়টি জানতে পারেন। তখন জহুরুল ইসলামকে তার শিশুপুত্র জিসানকে নিয়ে হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় তার বাসায় যেতে বলেন। দ্রুত শিশু জিসানকে সেখানে নেয়া হয়। ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন রোগী দেখে নতুন কিছু ওষুধ দেন। জিসানের পিতা জহুরুল ইসলামের আহাজারিতে অন্য চিকিৎসকের হৃদয়ে অশ্রু ঝড়লেও মন গলেনি জরুরি বিভাগে ঘুমন্ত চিকিৎসক ডা.আবু হাসান মো.ওয়াহেদ রানার হৃদয়। এ ব্যপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.শামীম কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সকালে শিশু জিসানকে দেখতে শিশু ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা.খায়রুল আলমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তিনি দিনভর ব্যস্ত থাকার কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।