৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় আগামী ২৫ নভেম্বর আনন্দ উৎসব

চুয়াডাঙ্গায় জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেছেন ‘১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় আগামী ২৫ নভেম্বর জেলার সকল ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে আনন্দ উৎসব পালন করা হবে। ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি উদ্যোগে ৪ তলা বিশিষ্ট জেলার কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণ করা হবে। গতকাল রোববার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ এ মন্তব্য করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম, জেলা পরিষদের সচিব নুরজাহান খানম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হাসান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম রেজা, বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে যুগ্ম পরিচালক আব্দুল মালেক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলামসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ সভায় আরও বলেন ‘চুয়াডাঙ্গার বড়বাজার থেকে বাসটার্মিনাল পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়নে কাজ শুরু হচ্ছে। এসময় যথাযথভাবে জমি মেপে নেয়া হবে। কারো জমি নেবো না। সরকারি জমি দেবো না। দীর্ঘদিন যাবত যারা জমি ভোগ দখল করে আসছেন তাদের জমির ভাড়া চাচ্ছি না। জমি মেপে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গণপুর্ত বিভাগের সরকারি বাসভবনগুলো দেখে মনে হয়, দেখার কেউ নেই। বাসাগুলো বসবাসের উপযোগী নয়। বার্ষিক বরাদ্দের চিঠিও পাওয়া যায় না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিগুলো যদি না লাগে তা সরকারি অন্য উন্নয়ন কাজে লাগানো হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে একটি কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সদর হাসপাতালে দালালমুক্ত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে সদর হাসপাতালকে দালালমুক্ত ঘোষণা করা হবে। এ সড়কটিকে ওয়ান ওয়ে করা হবে। সেই লক্ষ্যে হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তা ঠিক করতে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন ‘চুয়াডাঙ্গায় মাদক মানুষের অষ্টেপৃষ্টে মিশে গেছে। মাদকমুক্ত করতে প্রথমে আলমডাঙ্গা উপজেলাকে বেছে নেয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে আলমডাঙ্গায় মাদকের কারবার চলবে না। ধীরে ধীরে জেলায় চলবে না। এরপর সাড়াশি অভিযান চালানো হবে।’