কাজি মোহাম্মদের জেল : বর-কনে ধরতে পুলিশ হয়রান

চুয়াডাঙ্গার মাখালডাঙ্গায় বাল্যবিয়ে : ইউএনও পৌছুনোর আগেই সরিয়ে নেয়া হলো ছাদনাতলা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার মাখালডাঙ্গায় সাজ সন্ধ্যায় কন্যার বাড়িতেই বাল্যবিয়ে পড়ানো হচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর-কনেকে পেলেন না হাতের কাছে। তবে বিয়ে পড়ানো কাজির সহযোগী মাখালডাঙ্গা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মোহাম্মদ আলীকে পাকড়াও করা হয়। তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭ দিনের কারাদ-াদেশ দেয়া হয়েছে।
গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাল্যবিয়ের শিকার কনে দীননাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবারের জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া জোসনা খাতুন ও বর চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়া হুচুকপড়ার রেজাউলকে গতরাতে খুঁজে ধরতে পারেনি পুলিশ। কিশোরী বধূকে উদ্ধার ও বরকে গ্রেফতার অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশের এক সদস্য হুচুকপাড়ায় প্রথম দফা অভিযান চালানোর পর রাত ১২টার দিকে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, বাসর হলেও ওদের ছাড় নেয়। যেখানেই থাকবে সেখান থেকেই ধরে হাজির করা হবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মাখালডাঙ্গা গ্রামের মিরাজুল ইসলামের মেয়ে জোসনা খাতুন দীননাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলো। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে হুচুকপাড়ার আব্দুল গফুরের ছেলে রেজাউলের সাথে বিয়ে দেয়া হচ্ছে খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান শুরু করেন। তবে বিয়ের আসরে পৌছুনোর পূর্বেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ছাদনাতলা গুটিয়ে নেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা শুনে বিয়ে পড়ানো কাজি মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আলীকে আটক করেন। তিনি বিয়ে পড়ালেও কোনো কাজির রেজিস্ট্রারে বিয়ে সম্পাদন করা হয়েছে তা অবশ্য নিশ্চিত করে জানা যেমন সম্ভব হয়নি, তেমনই তাকে ধরাও যায়নি। মোহাম্মদ আলীকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াশীমুল বারী পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে পেশ করা হলে ১৮৬০ সালের ১৮৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তথা সরকারি আইন অমান্য করার অপরাধে তাকে ৭ দিনের কারাদ-াদেশ দেন।