ছোট হাতুড়ি ছাবল দিয়ে শুরু হয়েছে বহু কাক্সিক্ষত চুয়াডাঙ্গা শহরের রাস্তা নির্মাণ কাজ

স্টাফ রিপোর্টার: ছোট হাতুড়ি শাবল দিয়ে শুরু করা হয়েছে বহু কাক্সিক্ষত চুয়াডাঙ্গা শহরের রাস্তা নির্মাণ কাজ। গত সোমবার শহরের পুরোনো ঝিনাইদাহ বাসস্ট্যান্ড সড়ক থেকে এ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। আর রাস্তা নির্মাণের সময় রাস্তার একপাশ বন্ধ রাখা করে হচ্ছে। ফলে সব ধরনের যানবাহনকে একলেন দিয়ে চলাচল করায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে জনগণ ও পথচারীরা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলার অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। কোথাও মারণফাঁদে রূপ নিয়েছে। ৩ কিলোমিটারজুড়ে রাস্তাটি খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন এ সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার যানবাহন ও কয়েক লাখ মানুষের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে।
এরই মধ্যে গত সোমবার থেকে পুরোনো স্টেডিয়াম সড়কে প্রবেশের মুখ থেকে আজম মিয়ার পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত রাস্তাটির একপাশ বন্ধ রেখে কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় মোহাদ্দেস, নজরুলসহ ৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন। তারা ছোট হাতুড়ি, কোদাল ও শাবল নিয়ে কাজে এসেছেন। এই ৫ জন প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাজ করছেন। কাজ করার সুবিধার জন্য বাঁশ বেঁধে দিয়ে রাস্তার একপাশ যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তারা কী করছেন জিজ্ঞাসা করলে মোহাদ্দেস বলেন, সড়ক বিভাগ পাকা রাস্তার ওপর যে ইট বিছিয়েছিলো তা তুলে খোয়া করছি। সামান্য এ কাজ করতে রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে কেন? জিজ্ঞাসা করলে এর কোনো জবাব দেননি তিনি। ৫ জন শ্রমিক ৩ দিনে বড় জোর ৪ থেকে ৫শ ইট তুলে খোয়া করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার বাসিন্দা আমিনুল, ছানোয়ার ও বিপুল আশরাফ বলেন, আমরা আনান্দিত দীর্ঘদিন পর হলেও চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে ছোট হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে যেভাবে কাজ শুরু হয়েছে তাতে কয়েকগুণ সময় লেগে যাবে। সেই জন্য রাস্তা নির্মাণে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পরামর্শ তাদের। তাছাড়া সামান্য কারণে রাস্তা বন্ধ রাখার কোনো যুক্তি নেই বলে তারা জানান।
সড়ক বিভাগ জানায়, চুয়াডাঙ্গা অংশে ৬৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮.২৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। গোকুলখালী-ভালাইপুর অংশে রাস্তা নির্মাণ কাজ একমাস আগে শুরু হয়েছে। শহরের মধ্যে ২.২ কিলোমিটার হবে ৪ লেন অর্থাৎ ফুটপাতসহ রাস্তাটি ৫৪ ফুট প্রসস্ত হবে। আর শহরের বাইরে রাস্তাটি হবে ফুটপাতসহ ৩০ ফুট প্রসস্ত। রাস্তাটি নির্মাণে ঠিকাদার নিযুক্ত হয়েছেন আরএবি-আরসি প্রাইভেট লিমিটেড, রানা বিল্ডার্স ও জহুরুল ইসলাম। আগামী বছর ১৯ জুন এই রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।