ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১ জনের অর্থদণ্ড: ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

দামুড়হুদা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের ৩য় দিনে আরও ৬ জন আটক

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান (পিপিএম) চুয়াডাঙ্গাকে মাদকমুক্ত করতে বিশেষ নির্দেশনা মোতাবেক চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ ও দর্শনা তদন্তকেন্দ্র পুলিশ মাদকবিরোধী ঝটিকা অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তারই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার আরও ৬ জন মাদকসেবীকে আটক করা হয়েছে। আটক ৬ জনের মধ্যে ১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাকি ৫ জনের নামে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের ৩য়দিনে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে দর্শনা তদন্তকেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গাইনের সার্বিক সহযোগিতায় দর্শনা রেলগেটসহ চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের বিভিন্নস্থানে মাদকবিরোধী ঝটিকা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযান চলাকালীন দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই তপন কুমার নন্দী, কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আসাদ ও এএসআই সাজেদুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দর্শনা রেলগেট এলাকা থেকে মদ্যপ অবস্থায় ৫ জনকে এবং দর্শনা তদন্তকেন্দ্রের এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন দর্শনা পৌর এলাকা থেকে ১০ পিস ইয়াবাসহ একজনকে আটক করেন।
বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানকে জানানো হলে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হন এবং মদ্যপ অবস্থায় আটক হাতিভাঙ্গা গ্রামের আলীম ম-লের ছেলে আলাউদ্দিনের (৩৫) বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া ইয়াবাসহ আটক প্রতাবপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৮), মদ্যপ অবস্থায় আটক দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুরের মওলা বক্সের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুরের মৃত লস্কর আলীর ছেলে নূরনবী (১৯), জিরাট গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে রিপন (২৮) এবং একই গ্রামের ফয়জুল্লাহ মালিথার ছেলে ইউনুচসহ (৫৫) ৫ জনের নামে মাদক আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ৩ দিনে এ পর্যন্ত মোট ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৪ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ৪ জনকে প্রাথমিকভাবে সর্তক করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকিদের নামে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।