ঢাকায় প্রকাশ করা ৪ ছিনতাইকারীর ছবি দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় শনাক্ত

 

তরিকুলকে ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হলেও বাকি অন্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: ঢাকার গুলশান থানা পুলিশের প্রকাশ করা পেশাদার ৪ ছিনতাইকারীর ৩ জনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায়। সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এদের ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানায় গুলশান থানা পুলিশ। বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা ৪ জনের মধ্যে তরিকুল নামের একজনকে গতপরশু ঢাকার ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর তিনজনকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ।
ঢাকার গুলশান থানা পুলিশের তরফে প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তিতে দুটি ছবিতে ৪ জনের ছবি রয়েছে। এদের ধরিয়ে দেয়া বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পরশু কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় জানাজানি হয়। ৪ জনের মধ্যে যে ৩ জনের বাড়ি কার্পাসডাঙ্গা এলাকাবাসী শনাক্ত করেছে। এরা হলেন- কার্পাসডাঙ্গা বাজার কাস্টম মোড়ের আব্দুল হাই মেম্বরের ছেলে আব্দুল কাদের (২৮), আরামডাঙ্গা গ্রামের আফের আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৫) ও কার্পাসডাঙ্গা বাজারপাড়ার আকবর মধুমুখোর ছেলে তারিকুল (২৮)।
গতকাল বুধবার ঢাকার গুলশান থানার ওসির সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত দুটি রিকশাযোগে সরে পড়া ৪ জনই চিহ্নিত ছিনতাইকারী। ওদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা রয়েছে। তথ্য সংগ্রহের পর চুয়াডাঙ্গা পুলিশের সহযোগিতায় ইতোমধ্যেই দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় অভিযানও চালানো হয়েছে। তবে তরিকুলকে ঢাকার ভাটারা এলাকা থেকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এদিকে কার্পাসডাঙ্গা এলাকার অনেকেই বলেছেন, ওরা যে ঢাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী হয়েছে তা তো এলাকাবাসী এতোদিনে বুঝে উঠতে পারেনি। তরিকুল দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করে আসছে। আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে। আর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে এলাকায় তেমন মামলার কথা এতোদিনে জানা যায়নি। এরা ছাত্রদল, যুবদলের সাথে এক সময় জাড়িত ছিলো।
কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আসাদুর রহমান আসাদ প্রতিবেদককে জানান, ঢাকা গুলশানের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাটি আমাদের অবহিত করেছে। ওই আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।