কেরুজ চিনিকলের ২০১৭-১৮ আখমাড়াই মরসুম উদ্বোধন আজ

ডিহি খামারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুপারভাইজারকে সাময়িক বহিষ্কার ও দুজনকে অব্যাহতি
দর্শনা অফিস: আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে কেরুজ চিনিকলের ২০১৭-১৮ আখ মাড়াই মরসুম। চিনিকল কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনের সকল প্রস্তুতিসম্পন্ন করলেও দু’দিন আগে মিলের ডিহি খামারের আখের জমিতে আগুনের ঘটনায় ভাবিয়ে তুলেছে সর্বমহলকে। চিনি কারখানাকে লাভজনক করতে যখন উঠে পড়ে লেগেছে মিল কর্তৃপক্ষ, ঠিক তখনি আখে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা ব্যাপক আলোচনা-সমলোচনার ঝড় তুলেছে। প্রকাশ্য দিনের বেলায় আখে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনায় ডিহি বাণিজ্যিক খামারের সুপারভাইজারকে করা হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত। দিনমজুরির ২ জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। গত পরশু বুধবার দুপুর ১টার দিকে ডিহি বাণিজ্যিক খামারের এ ব্লকের জমির আখে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এতে ওই ব্লকের ৩০ বিঘা জমির আখ পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে হয়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা ও জীবননগর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে যায়। ফলে চিনিকল কর্তৃপক্ষকে মাড়াই শুরুর আগেই লোকসান গুণতে হচ্ছে অর্ধলাখ টাকা। প্রতি বছরই কেরুজ নিজস্ব জমিতে আখে আগুনের ঘটনা ঘটলেও এবার মাড়াই শুরুর আগে ঘটলো এ ঘটনা। এ ঘটনায় ডিহি বাণিজ্যিক খামারের সুপারভাইজার হারুন অর রশিদকে গতকাল বৃহস্পতিবার সাময়িক বরখাস্ত করেছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া খামারের দিন হাজিরা শ্রমিক সানোয়ার ও জাকির হোসেনকে করা হয়েছে চাকরিচ্যুত। ঘটনাটি তদন্তের জন্য গতকালই ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এনায়েত হোসেন। ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) কেএম সরোয়ারদী। এ ঘটনায় মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এনায়েত হোসেন বলেছেন, চিনি কারখানার লোকসান কমিয়ে লাভের মুখ দেখতে চিনিকল কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে নানামুখি পদক্ষেপ। সেক্ষেত্রে কোনো প্রকার দুর্নীতি, অনিয়ম বরদাস্থ করা হবে না। তদন্তে দোষিদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য লোকসানের বোঝা কমাতে শাদামাটা পরিবেশে আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে কেরুজ চিনিকলের ২০১৭-১৮ আখ মাড়াই মরসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। এ মরসুমে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশেনের বেধে দেয়া নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে ৮০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৫ হাজার ৮শ মেট্রিকটন চিনি উৎপাদন করতে হবে। ৭০ মাড়াই দিবসে চিনি আহরণের গড় হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে ধারণা করা হচ্ছে আখ মাড়াইয়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হলেও হতে পারে, সেক্ষেত্রে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ অনিশ্চিত। কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে আহরণের গড় হার নির্ধারণের বিষয়টি।