গাংনীর সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা আর নেই

গাংনী প্রতিনিধি: চলে গেলেন বর্ষিয়ান রাজনীতিক, শিক্ষানুরাগী ও মেহেরপুর গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা। বার্ধক্যজনিত কারণে গতকাল শুক্রবার দুপুরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি…..রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো প্রায় ৯০ বছর। তিনি ৪ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি হোগলবাড়িয়া গ্রামের প্রয়াত হাজি ভরষ উদ্দীনের নাতি ও সানা উল্লাহর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুরুল হুদার বয়স বাড়ার পাশাপাশি গত দু’বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। উন্নত চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ্য হলেও বার্ধক্য তার পিছু ছাড়েনি। অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে হোগলবাড়িয়া-মহাম্মদপুর ভরষ উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক করবস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। জানাজায় হাজারও মানুষের উপস্থিতি ছিলো। উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল আওয়াল, যুগ্ম সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, পৌর বিএনপির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মুরাদ আলী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, উপজেলা কৃষক দল সভাপতি আখেরুজ্জামান, মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মটমুড়া ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাশেম, উপজেলা যুবদল সভাপতি আক্তারুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম বুলবুল বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। হোগলবাড়িয়া-মহাম্মদপুর হাজি ভরষ উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন দানবীর ভরষ উদ্দীন। বিদ্যালয়ে অনেক সম্পত্তি দান করেন তিনি। ওই বিদ্যালয়ের আজীবন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হাজি ভরষ উদ্দীনের নাতি নুরুল হুদা। রাজনৈতিক জীবনে তিনি মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা ছিলেন। এছাড়াও মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন নুরুল হুদা। তার মৃত্যুতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন।