বিদেশি টুকরো

কিম জং উন ‘দুর্বল কুকুরছানা’: ট্রাম্প

মাথাভাঙ্গা মনিটর: উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে নিয়ে ফের উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইটে উনকে একজন ‘ক্ষুদ্র রকেট মানব’ ও ‘দুর্বল কুকুরছানা’ বলে সম্বোধন করেন তিনি।
বুধবার উত্তর কোরিয়া সর্বোচ্চ শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ব্লাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র-আইসিবিএমের সফল পরীক্ষা চালানোর পর বৃহস্পতিবার উনকে নিয়ে এ বিতর্কিত মন্তব্য করেন ট্রাম্প। টুইটে উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি থেকে নিবৃত্ত করতে ব্যর্থতার জন্য চীনের উদ্যোগেরও সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘চীনের প্রতিনিধি উত্তর কোরিয়া থেকে ফিরলেন মাত্র।  মনে হচ্ছে, ক্ষুদ্র রকেট মানবের ওপর তাদের কোনো প্রভাব নেই। ’উল্লেখ্য, সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়ে উত্তর কোরিয়া আগে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্তি করেছিল। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে উনকে নিয়ে মন্তব্যের কারণে ট্রাম্পকে মৃত্যদণ্ড দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। আর কিম জং উন নিজেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের তীর্যক মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছিলেন। তিনি ট্রাম্পকে ‘মস্তিস্ক বিকৃত মার্কিন বুড়ো’
সম্বোধন করেছিলেন।

 

মিয়ানমারে ইসরাইলের অস্ত্র সরবরাহ ফাঁস, রাষ্ট্রদূতকে তলব

মাথাভাঙ্গা মনিটর: রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যাসহ জাতিগত নিধনের জন্য অভিযুক্ত মিয়ানমারের সেনাদের গত কয়েক মাস ধরে ইসরাইল অস্ত্র সরবরবাহ করছে। এ কথা ফাঁস করে দেয়ায় তেলআবিবে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ম্যাং ম্যাং লিনকে তলব করেছে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতির বরাতে এ খবর জানিয়েছে রাশিয়ার আরবি সংবাদ চ্যানেল রুসিয়া আল-ইয়াওম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার তেলআবিবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক উপ মহাপরিচালক গিলাড কোহেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ম্যাং ম্যাং লিন। এ সময় রাষ্ট্রদূত মিয়ানমাররকে ইসরাইলের অস্ত্র সরবরাহ সংক্রান্ত বক্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে তা প্রত্যাহার করে নেন বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। ইসরাইল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে,  তেলআবিব মিয়ানমারের কাছে কোনো ধরনের অস্ত্র বিক্রি করেনি। এ নিয়ে গত এক মাসে দ্বিতীয়বার মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রির কথা অস্বীকার করল ইসরাইল। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরাইলের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার লক্ষ্যে তেলআবিব সফরে যান মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইন। ওই সময় ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট রুভেন রিভলিনের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা শুরু করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে। এরমধ্যেই তেলআবিব মিয়ানমারে অস্ত্রের চালান পাঠিয়েছে বলে বিভিন্ন ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যমে খবর বের হয়। এ অবস্থায় অস্ত্র সরবরাহের খবর অস্বীকার করে ইসরাইল। কিন্তু মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ম্যাং ম্যাং লিন অস্ত্র সরবরাহের খবর নিশ্চিত করলে ইসরাইলের অস্বীকার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

 

 

সৌদিতে অভিযানে ১ লাখ ২০ হাজার প্রবাসী গ্রেফতার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সৌদি আরবে চলতি বছরে ‘এ নেশন উইদাউট এ ভায়োলেটর’ অভিযানে এক লাখ ১৯ হাজার ৮৫০ জন প্রবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়, সৌদি আরবে চলমান ‘এ নেশন উইদাউট এ ভায়োলেটর’ অভিযানের আওতায় ওই প্রবাসীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৭ হাজার ৭৭০ জনকে অভিবাসন আইন লঙ্ঘন, ১৯ হাজার ৭০৯ জনকে সীমান্ত নিরাপত্তা লঙ্ঘন, ৩০ হাজার ৯৫৬ জনকে শ্রম আইন লঙ্ঘন এবং এক হাজার ৪২৫ জনকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের খবরে বলা হয়, অবৈধভাবে সৌদিতে প্রবেশের চেষ্টাকারীদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ ইয়েমেন, ২১ শতাংশ ইথিওপিয়া ও ১ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। সৌদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্প্রতি দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালায়। সেখান থেকে শ্রম ও অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এক হাজার ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।এর আগে গত সপ্তাহে মক্কা থেকে একই অভিযোগে ২৯৬ জনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আসির থেকে ৪৩৮ জন, রিয়াদ থেকে ১০৪ জন, আলখোবার থেকে ১৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে শ্রম ও অভিবাসী আইন লঙ্ঘন সংক্রান্ত কোনো খবর পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে।