জীবননগর মহাসড়কে সরকারি তিনটি গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে তিনটি বড় গাছ ভ্যাটসহ ৬৫ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। মহাসড়কে ব্লাকস্পট খ্যাত মনোহরপুরের তিনটি গাছ অপসারণ হওয়ায় দুর্ঘটনা কমে আসবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, জীবননগরে ব্লাকস্পট খ্যাত মনোহরপুরে প্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এ কারণে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসনকে ভাবিয়ে তোলে। সড়কটিতে দুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ফলে রাস্তার একাপার্শ্বে রাস্তা বাড়ানো হয়। রাস্তা বৃদ্ধির কারণে ১টি শিশু, ১টি মেহগনি ও ১টি রেইনট্রি গাছ অপসারণের দরকার পড়ে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সার্ভে করে ওই ৩টি গাছের মূল্য নির্ধারণ করে ৫৫ হাজার ৫৭৯ টাকা ৩৯ পয়সা। দরদাতা কর্তৃক সর্বোচ্চ মূল্য ৬০ হাজার টাকা প্রদান করলে কর্তৃপক্ষ ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সর্বমোট ৬৫ হাজার ৪০০ টাকায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কামিরহাট গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আনিচুর রহমানের কাছে বিক্রি করে। গত ১৬ অক্টোবর রাজশাহী নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ (সওজ) পলাশ সরকার স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কার্য সম্পাদনের সময় নির্ধারণ করা হয় ১৫ দিনের। সে সময় অতিক্রম হলেও গতকাল সোমবার দুপুরে মনোহরপুরে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে গাছ কাটতে দেখা গেছে। তিনি ঠিকাদারের প্রতিনিধি বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর ধারণা ওই তিনটি গাছের প্রকৃত মূল্য কয়েক লাখ টাকা। যে সকল ব্যক্তি গাছের মূল্য সার্ভে করেছিলো তারা সঠিক দাম আড়াল করে নাম মাত্র মূল্য দেখিয়ে সওজ তথা সরকারকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। এভাবে সড়ক বিভাগ আর কতদিন সরকারকে ঠকাবে এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর।