নতুন জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’ নেতৃত্বে বি চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার: আ স ম রবের বাড়িতে এক বৈঠকের পর ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দিয়েছেন বিকল্পধারার সভাপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। যুক্তফ্রন্টে বিকল্পধারার সঙ্গে রয়েছে আ স ম রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগ ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য।

‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে’ একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে সারাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করাই জোটের প্রথম কাজ ঠিক করা হয়েছে বলে বি চৌধুরী জানিয়েছেন। বি চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী ও রব ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও এনডিএফ নামে একটি জোট গঠন করেছিলেন। কিন্তু বিএনপির মতো তারাও ওই নির্বাচন বর্জন করে। এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগের বছর গত কিছু দিন ধরেই নতুন জোট গড়ার তোড়জোড় করছিলেন তারা। রবের বাড়িতে সাম্প্রতিক এক বৈঠকে পুলিশ বাগড়া দেওয়ার পর বি চৌধুরীর বাড়িতে বসেছিলেন তারা। আগের বৈঠক দুটিতে কাদের সিদ্দিকী অনুপস্থিত থাকলেও রবের উত্তরার বাড়িতে সোমবার রাতের বৈঠকে ছিলেন তিনি। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা অবধি এই বৈঠকে বি চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী, রব, মান্না ছাড়াও ছিলেন বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ। বৈঠকের পর বি চৌধুরী  বলেন, “যুক্তফ্রন্ট নামে জোট ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা সারাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করব নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে। এটাই আমাদের প্রথম কাজ হবে।

নতুন জোটের আহ্বায়ক হিসেবে আপাতত দায়িত্ব পালন করবেন বি চৌধুরী; সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন মান্না। মান্না ‘চারটি রাজনৈতিক দল মিলে এই জোট করা হয়েছে। জোটের গঠন কাঠামো ও কর্ম পদ্ধতি আলোচনা করে পরে ঠিক করা হবে।’ ‘যথাসময়ে’ সংবাদ সম্মেলন করে জোটের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম জানানো হবে বলে জানান রব। বর্তমান সরকারের সমালোচক রব এক সময় আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী হয়ে ১৯৯৬ সালের শেখ হাসিনার সরকারে মন্ত্রী হয়েছিলেন। রবের দল জাসদের এক সময়ের নেতা মান্না পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় সংস্কারপন্থি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর পদ হারান তিনি। বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীও এক সময়ে আওয়ামী লীগ করতেন। দুই দশক আগে আওয়ামী লীগ ছেড়ে নতুন দল গঠন করেন তিনি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বি চৌধুরী খালেদা জিয়ার ১৯৯১ সালের সরকারে মন্ত্রী হওয়ার পর ২০০১ সালে বিএনপি সরকার আমলে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন, পরে সেই পদ ছাড়তে হয়েছিল তাকে।