দামুড়হুদার মোক্তারপুরে বাল্যবিয়ে পড়ানোর কাজে সহযোগিতার অভিযোগে ৫ জন আটক

ভ্রাম্যমাণ আদালতে কনের ভাইসহ আটককৃতদের কারাদন্ড প্রদান
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার মোক্তারপুরে গোপনে বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরে পুলিশ বিয়ে বাড়িতে হানা দিয়ে কনের বড় ভাইসহ ৫ জনকে আটক করে এবং বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানকে জানানো হলে তিনি তাৎক্ষণিতভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের নাবালিকা মেয়ে শ্যামলীর সাথে (১৪) উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুলবাড়ি গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে নাহিদের সাথে দিন পনেরো আগে গোপনে বাল্যবিয়ে পড়িয়ে রাখা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কনেকে ঘটা করে তুলতে বর পক্ষ আসে মোক্তারপুরস্থ কনের পিতার বাড়িতে। বিষয়টি গোপন সংবাদে পুলিশ জানতে পেরে হানা দেয় ওই বিয়ে বাড়িতে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকেই পালিয়ে যায়। আটক করা হয় কনের বড়ভাই মোক্তারপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে মাবুদ হোসেন (২০), কনের চাচা একই গ্রামের শামসদ্দিনের ছেলে আতিয়ার রহমান (৪০), বরের বৃদ্ধ নানা বুইচিতলা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে ইউসুফ আলী (৬৮), কনের মামাতো ভাই হোগলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে পারভেজ হোসেনকে (২৪) এবং কনের ফুপ্পা আটকবর বোয়ালমারী গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে মাহাতাব হোসেনকে (৪২)। পুলিশ বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিতভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাল্যবিয়ে পড়ানো কাজে সহযোগিতা এবং সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেকের ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন।
এদিকে এলাকাসূত্রে জানা গেছে, পাটাচোরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলীসহ সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আশাদুল হকের উপস্থিতিতে দিন পনেরো আগে গোপনে ওই বাল্যবিয়ে পড়ানো হয়। কুড়–লগাছি ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট কাজী রুহুল আমিন ওই বাল্যবিয়ে পড়িয়েছেন বলেও জানা গেছে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সত্যতা পেলে বাল্যবিয়ের সহযোগিতাকারী সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।