শেষদিনের রোমাঞ্চের অপেক্ষায় অ্যাডিলেড টেস্ট

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অ্যাডিলেডে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট জিততে ম্যাচের শেষদিন সফরকারী ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১৭৮ রান। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৬ উইকেট। তাই বলা যায় টেস্টপ্রেমীদের জন্য কাল শেষদিনে দারুণ রোমাঞ্চ অপেক্ষা করে আছে। প্রথম ইনিংসে ৪৪২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ফলে ম্যাচ জয়ের জন্য ৩৫৪ রানের টার্গেট পায় ইংলিশরা। সেই লক্ষ্যে চতুর্থ দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৭৬ রান করতে সক্ষম হয় সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান করেছিলো ইংল্যান্ড।

প্রথম ইনিংসে ২১৫ রানের লিড পেয়ে ইংল্যান্ডকে ফলোঅনে না ফেলে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে নিজেরাই ব্যাট হাতে নামে অস্ট্রেলিয়া। ৪ উইকেটে ৫৩ রান তুলে অস্বস্তিতে থেকে তৃতীয় দিন শেষ করেছিলো অসিরা। চতুর্থ দিন সেই অস্বস্তি থেকে বের হতে পারেনি স্বাগতিকরা। ইংল্যান্ডের দুই পেসার জেমস এন্ডারসন ও ক্রিস ওকসের বোলিং তোপে ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৪৩ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন এন্ডারসন। এই নিয়ে ১৩১ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৫তমবারের মত ৫ বা ততোধিক উইকেট শিকার করলেন এন্ডারসন। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৩০ ইনিংসের মধ্যে এই প্রথমবার ৫ উইকেট নিলেন তিনি। এন্ডারসনের এমন অর্জনের দিন ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন ওকস।

দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রান করে করেন উসমান খাজা ও টেল-এন্ডার ব্যাটসম্যান পেসার মিচেল স্টার্ক। এছাড়া প্রথম ইনিংসে অনবদ্য সেঞ্চুরি করা শন মার্শ ১৯ রান করেন।

৩৫৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই ছিলো ইংল্যান্ডের। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৩ রান যোগ করেন দুই ওপেনার সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক ও মার্ক স্টোনম্যান। ব্যক্তিগত ১৬ রানে থাকা কুককে বিদায় দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম সাফল্য এনে দেন অফ-স্পিনার নাথান লিঁও। এরপর ইংল্যান্ডের শিবিরে ডাবল আঘাত হানেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার স্টার্ক। স্টোনম্যানকে ৩৬ ও জেমস ভিন্সকে ১৫ রানে শিকার করেন তিনি। ৯১ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর ডেভিড মালানকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট। দু’জনের ব্যাটিং নৈপূণ্যে বেশ সহজেই ইংলিশদের স্কোর বোর্ডে রান জড়ো হতে থাকে। এরমধ্যে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৪তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন রুট। তবে দলীয় ১৬৯ রানে এই জুটিতে ভাঙন ধরান অস্ট্রেলিয়ার ডান-হাতি পেসার প্যাট কামিন্স। ২৯ রানে থাকা মালানকে তুলে নেন তিনি। দিনের খেলা শেষ হবার ১৩ বল আগে বিদায় নেন মালান। এরপর ওকসকে নিয়ে বাকি সময়টুকু ভালোভাবে শেষ করেন রুট। ৯টি চারে ১১৪ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন রুট।