লিটন-স্যামুয়েলসের ব্যাটে কুমিল্লার জয়

স্টাফ রিপোর্টার: সহজ জয় দিয়ে প্রাথমিক পর্ব শেষ করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগেই শীর্ষস্থান নিশ্চিত করা দলটির জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং করা লিটন দাস। ব্যাটিং-বোলিং ব্যর্থতায় হার দিয়ে বিপিএল শেষ করেছে সিলেট সিক্সার্স। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবারের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা জিতেছে ৪৫ রানে। ১৭০ রান তাড়ায় সিলেট থামে ১৪৫ রানে। ১২ ম্যাচে নবম জয়ে কুমিল্লার পয়েন্ট ১৮। আগামীকাল শুক্রবার প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে তারা খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে। সপ্তম পরাজয়ের স্বাদ পাওয়া সিলেট টুর্নামেন্ট শেষ করলো পঞ্চম স্থানে থেকে। নিষ্প্রভ লিটন গত ম্যাচসহ একাদশের বাইরে ছিলেন দুই ম্যাচে। দলে ফিরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটিতে দলকে এনে দিয়েছেন লড়াইয়ের পুঁজি। দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন মারলন স্যামুয়েলসের। শিশিরের জন্য দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং তুলনামূলক সহজ হয়ে যায়। তারপরও অসমান বাউন্সের জন্য কাজটা কঠিন ছিল। দারুণ সব শটের পসরা সাজিয়ে বসা লিটন সেই চ্যালেঞ্জ সামলেছেন সাবলীলভাবে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত জস বাটলার ও ইমরুল কায়েসকে হারানো কুমিল্লার ত্রাতা লিটন ও স্যামুয়েলস। তৃতীয় উইকেটে দুই জনে গড়েন ৮৩ রানের জুটি। দুই ব্যাটসম্যান ব্যাট করেন দুই মেজাজে। লিটন শুরু থেকেই চড়াও ছিলেন বোলারদের ওপর। সে সময়ে বলে-বলে রান তুলছিলেন স্যামুয়েলস। চলতি আসরে প্রথম পঞ্চাশের দেখা পাওয়া লিটন ফিরেন ৬৫ রান করে। তার ৪৩ বলের ইনিংসে ৬টি চারের পাশে ছক্কা তিনটি।

জুটির সঙ্গীকে হারানোর পর রানের গতি বাড়ানো দিকে মনোযোগী হন স্যামুয়েলস। তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া শোয়েব মালিক নেমেই তুলেন ঝড়। শেষ ৫ ওভারে কুমিল্লা তুলে ৫০ রান।

চলতি আসরে দ্বিতীয়বার সিলেটের বিপক্ষে ফিফটি পাওয়া স্যামুয়েলস ফিরেন ৫৫ রান করে। তার ৪৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে পাঁচটি চার, ছক্কা দুটি। দুই দলের প্রথম দেখায় ক্যারিবিয়ান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান করেছিলেন ৬০ রান।

সোহেল তানভিরের শেষ ওভারে দুটি ছক্কা হাঁকানো মালিক ১৮ বলে অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে। রান তাড়ায় সিলেটের আশায় চোট লাগে শুরুতেই। আম্পায়ারের সংশয়পূর্ণ সিদ্ধান্তে দ্বিতীয় ওভারে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিন নম্বরে নেমে একটি করে ছক্কা-চারে ১২ রান করে বিদায় নেন অধিনায়ক নাসির হোসেন। ভালো শুরু কাজে লাগাতে পারেননি আন্দ্রে ফ্লেচার, বাবর আজম। সাব্বির রহমানের ২০ বলে খেলা ৩১ রানের ইনিংস জাগিয়েছিল খানিকটা আশা। কিন্তু হাসান আলির বলে পয়েন্ট ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনিও। সোহেল তানভির, মোহাম্মদ শরীফ, শরিফউল্লাহরা শেষটায় কমিয়েছেন পরাজয়ের ব্যবধান। ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে কুমিল্লার সেরা বোলার জিম্বাবুয়ের লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমার। দুটি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান ও হাসান আলী।