সাংবাদিক মুনজুরুলের বাবার লাশ দাফন শেষে বাড়ি ফিরে দেখলেন মায়ের মৃত্যু

হৃদয় বিদারক ঘটনায় এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া ॥ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ
দর্শনা অফিস: দর্শনা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মুনজুরুল আহমেদ বাবার লাশ দাফন শেষে বাড়ি ফিরে দেখলেন মায়ের মরা মুখ। স্বামীর মৃত্যুশোক সইতে না পেরে ৫ ঘণ্টার মাথায় মারা গেলেন স্ত্রী। হৃদয় বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে দর্শনা পৌর শহরের ঈশ্বরচন্দ্রপুরে। ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজনদের বুক ফাটা কান্নায় কেউ ধরে রাখতে পারেনি চোখের পানি। দর্শনা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। দর্শনা পৌর শহরের ঈশ্বরচন্দ্রপুর স্কুলপাড়ার মৃত ছাবের আলীর ছেলে কেরুজ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সদস্য ফরজ আলী (৭৮) দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগ-ভোগের পর গতকাল সোমবার বেলা পৌঁনে ১১টায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে………রাজেউন)। বাদ আছর ঈশ্বরচন্দ্রপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠে জানাজার নামাজ শেষে স্থানীয় গোরস্তানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা দাফন কাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখতে পায় স্বামীর শোকে ফরজ আলীর স্ত্রী ছামেনা বেগম (৬৩) মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন। চিকিৎসার জন্য দ্রুত চিকিৎসককে বাড়ি আনা হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। একটি শোক কাটতে না কাটতেই শুরু হয় আরেকটি শোকের মাতম। হৃদয় বিদারক এ খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বিকাল থেকেই শ’শ’ মানুষ ভীড় জমায় সাংবাদিক মুনজুরুল ইসলামের বাড়িতে। ফরজ আলী ও ছামেনা খাতুন মৃত্যুকালে ৪ ছেলে, ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এশা বাদ একই স্থানে জানাজা শেষে স্বামীর কবরের পাশেই শায়িত করা হলো স্ত্রী ছামেনা বেগমকে। বিশিষ্ট ব্রিক্স ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী চাচা ও চাচির মৃত্যুতে সকলের কাছে রুহের মাগফেরাত কামনা এবং দোয়া চেয়েছেন। পৃথক দুটি জানাজার নামাজে উপস্থিত থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক, দামুড়হুদা উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, দর্শনা পৌর মেয়র, পৌর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, দর্শনা পৌর আ. লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক আলী মুনসুর বাবু, পৌর কাউন্সিলর মঈনুদ্দিন মন্টু, ইদ্রিস আলী, দর্শনা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।