অস্ট্রেলিয়ার রান উৎসবের পর বিপদে ইংল্যান্ড

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি মিচেল মার্শ। ডাবল সেঞ্চুরিকে আড়াইশ পর্যন্ত নিতে পারেননি স্টিভেন স্মিথ। তবে অস্ট্রেলিয়ার রান উৎসব থেমে থাকেনি। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা নিয়েছে বড় লিড। এরপর অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের দাপটে আরও কোণঠাসা ইংল্যান্ড।পার্থ টেস্টে ৯ উইকেট ৬৬২ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। নিয়েছে ২৫৯ রানের লিড। ইংল্যান্ড রোববার চতুর্থ দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ১৩২ রানে। শেষ দিনে ইনিংস পরাজয় এড়াতেই ইংল্যান্ডের প্রয়োজন আরও ১২৭ রান।৪ উইকেটে ৫৪৯ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। ১৮১ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা মিচেল মার্শের ডাবল সেঞ্চুরির আশা শেষ সকালেই। দিনের দ্বিতীয় বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে যান জেমস অ্যান্ডারসনের বলে। একটু পর অ্যান্ডারসনের বলেই এলবিডব্লিউ স্মিথ। ২২৯ রানে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক আউট হন ২৩৯ রানে।

ওই ওভারেই রান আউটে ফেরেন মিচেল স্টার্ক। তবে টিম পেইন ও প্যাট কামিন্স মিলে আবারও যন্ত্রণা দেন ইংলিশ বোলারদের। অষ্টম উইকেটে ৯৩ রানের জুটি গড়েন দুজন। সিরিজের তিন টেস্টে তৃতীয়বার ৪০ ছুঁয়েও প্রথম টেস্ট ফিফটি করতে পারেননি কামিন্স। আউট হন ৪১ রানে। এরপর নাথান লায়ন আউট হতেই ইনিংস ছেড়ে দেন স্মিথ। পেইন তখন অপরাজিত ৪৯ রানে। রানের বোঝা কাঁধে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা ইংলিশরা ভেঙে পড়ে চাপে। জশ হেইজেলউডের অফ স্টাম্প ঘেষা ডেলিভারিতে দ্বিতীয় ওভারেই আউট মার্ক স্টোনম্যান। দীর্ঘদেহী এই পেসার দারুণ এক ফিরতি ক্যাচে ফিরিয়ে দেন অভিজ্ঞ অ্যালেস্টার কুককে। ইংলিশ অধিনায়ক জো রুটকে টিকতে দেননি লায়ন। স্রোতের বিপরীতে দারুণ খেলছিলেন ভিন্স। তাক লাগিয়েছেন দুর্দান্ত সব ড্রাইভে। কিন্তু ৫৫ রানে মিচেল স্টার্কের এমন এক ডেলিভারিতে বোল্ড হলেন, যেটিতে তার করার ছিলো সামান্যই। রাউন্ড দা উইকেটে স্টাম্পের বেশ দূর থেকে করা স্টার্কের ডেলিভারি মিডল স্টাম্পে পিচ করে একটু দেরিতে সুইং করে ভেঙে দেয় অফ স্টাম্প। ভিন্সের ব্যাটকে বল ফাঁকি দেয় অনেকটা লেগ স্পিনারের মতো। অসহায় হয়ে দেখা ছাড়া করার ছিল না কিছু ব্যাটসম্যানের। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের দুই নায়ক চেষ্টা করছিলেন জুটি গড়ার। ইংলিশদের স্বস্তি দিয়ে বৃষ্টিতে দিনের খেলা শেষ হয় খানিকটা আগেই। শেষ দিন সকালের পূর্বাভাস আছে ঝড় ও ১৫ মিলিমিটার বৃ্ষ্টির। ইংলিশদের প্রার্থনা থাকবে বৃষ্টির জন্যই। উইকেটে যেভাবে চিড় ধরতে শুরু করেছে, শেষ দিনে ইংল্যান্ডকে রক্ষা করতে পারে হয়তো কেবল বৃষ্টিই।