আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়ায় নারীকে জিম্মি করে ডাকাতি

আসমানখলী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার পল্লী ভাংবাড়িয়া পশ্চিমপাড়ার মণ্টুর বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাতে একদল ডাকাত হানা দিয়ে নগদ ১৫ হাজার টাকা, কিছু সোনার গহনা ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মণ্টুর স্ত্রী বলেন, তার স্বামী গ্রামের পশ্চিমপাশে ছিটি বিলে চাষ করা মাছ পাহারা দিতে গিয়ে ছিলো। আমি দুই ছেলে ও এক মেয়ে সাথে করে ঘরে ছিটকিন দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। ওই রাতে তখন ঘরের পাশে গোয়াল ঘরে গরু ছটফট করা আওয়াজ শুনে আমি টের পেয়ে ঘরের ছিটকিনি খুলে গরু দেখতে এলে ৮-৯ জনের একদল ডাকাত মুখ বাঁধা অবস্থায় বাড়িতে ঢোকে। তিন জন আমার কাছে এসে আমার সাথে হাতাহাতি করে, গায়ের ওড়না দিয়ে আমার মুখ পেঁচিয়ে আমার গলায় দাঁ ধরে। দুজন ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে, ঘর থেকে তারা খোঁজাখুজি আমার বড় ছেলের গলায় দাঁ ধরে আমাকে বলে বাক্সসের তালার চাবি দিতে, চাবি না দিলে তোর ছেলেকে জানে মেরে ফেলবো। আমি এ ভয়ে তাদের হাতে বাক্সসের চাবি দিতে বাধ্য হই। তারা আমার ঘরের বাক্স থেকে ১৫ হাজার টাকা, দু’টি সোনার আংটি গহনা নিয়ে ঘর থেকে নেমে যায়। আর বলে যায় বেশি ঝামেলা করলে ঘুরে এসে জানে মেরে ফেলবো। তারা চলে যাওয়ার পর আমি ঘর বিষয়টি শশুরকে বলি।
অপরদিকে ভাংবাড়িয়ার একইপাড়ার, মুনসুর আলীর জামাই প্রবাসী মিজানুর রহমানের বাড়িতে গতপরশু শনিবার মাঝরাতে ডাকাত দল গিয়ে মুনছুর আলীর স্ত্রী খদে খাতুনকে নাম ধরে ডাকে, এসময়ে ওই ঘর থেকে প্রবাসী স্ত্রী দেখে তাদের হাতে বড় দাঁ, সাবল ও হাতুড়ি দেখে তিনি ভয়ে পিছু পা হলে। ডাকাত দল তাদের ডাকে কোনো সাড়া না পেলে ওই ঘরের দরজায় হাতুড়ি ও সাবল দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করে এবং ঘরের ভেতর থেকে তারা চিৎকার করে চোর, ডাকাত বলে। এতে গ্রামবাসী চিৎকার দিয়ে ওই বাড়ির দিকে গেলে, তারা বাড়ির পাশে মাঠের দিকে চলে যায়। এবিষয়ে গ্রামের সচেতন মহল থেকে কথা উঠেছে, পশ্চিমপাড়ার মাচালে প্রতিরাতে জোয়া খেলা হয়ে থাকে, তারাই এ কাজ করছে।