ভোট পুনর্গণনার দাবিতে জীবননগরে বিএনপির পরাজিত প্রার্থী কামরুলের সংবাদ সম্মেলন

জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউপি নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থীর বিপক্ষে ভোটে কারচুপি, হুমকি-ধামকি দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দেয়াসহ ফলাফল উল্টে দেয়ার অভিযোগ এনেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি মনোহরপুর ইউনিয়নে তার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে অভিযোগ এনে ভোট পুনর্গণনার দাবি করেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে জীবননগর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের কামরুজ্জামান কামরুল লিখিত এ অভিযোগ আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বিএনপির এ চেয়ারম্যান প্রার্থী তার অভিযোগে বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন খানের ছেলে ফাইজুর রহমান খান নয়ন ছাত্রলীগ নামধারী কিছু ক্যাডার নিয়ে ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থকদের জোরপূর্বক নৌকা প্রতীককে ভোট দিতে বাধ্য করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়। তার স্ত্রী একটি কেন্দ্রের এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ নিয়ে কক্ষের ভেতর ভোটারদের প্রভাবিত করে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করেন। ৬নং কেন্দ্রে দু’টি ব্যালট বই দোতলার ছাদে নিয়ে সিল মেরে তা ব্যালট ব্যাক্সে ভরা হয়। একটি ভোট কেন্দ্রে তাকে ১৯২ ভোটে বিজয়ী ঘোষণার কিছু পর ওই ফল পাল্টে দিয়ে পরবর্তীতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অপর একটি কেন্দ্রে হিসেবের থেকে অতিরিক্ত ভোট পোলিং দেখানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে তার এজেন্টদের স্বাক্ষর না নিয়ে এবং ফলাফল শীট না দিয়ে তাদেরকে জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিষয়টি প্রিসাইডিং অফিসারের নিকট মৌখিক অভিযোগ করতে গেলে তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে তিনি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের নিকট অভিযোগ দিতে গেলে তিনি তা গ্রহণ করেননি এবং আমলেও নেননি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্বাচন পরবর্তী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ আনেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা তার কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর এবং হামলা চালিয়ে আহত করেছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখান করে মনোহরপুর ইউনিয়নের প্রত্যেকটি কেন্দ্রের ভোট পুনর্গণনার দাবি করেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান, পৌর বিএনপির সভাপতি শাহজাহান কবীর, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু ও সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।