শোভাযাত্রার অনুমোদন না পেয়ে বিক্ষোভ সংঘর্ষ : পিটুনি ও পাল্টা আক্রমনে পুলিশসহ ছাত্রদলের আহত অনেক

অনুমোদন ছাড়াই অনুষ্ঠান ও সরকারি কাজে বাধা দেয়াসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ দু’আড়াইশজনকে আসামি করে পুলিশের মামলা রুজু
স্টাফ রিপোর্টার: গতকাল ছিলো ১ জানুয়ারি। বিএনপির ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। চুয়াডাঙ্গায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা বের করতে গেলে পুলিশি বাধারমুখে ছাত্রদল রুখে দাঁড়ালেও শেষ পর্যন্ত পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সিনিয়র আহ্বায়কসহ শতাধিক নেতাকর্মী। এদের মধ্যে ২৬ জন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এমএইচ মোস্তফা ও তৌফিক এলাহী। এছাড়াও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ উর জামান সিজার, সোহেল মালিক সুজন, আলামিন, মওলা, ইমদাদ, তারিক, বকুল, রাজীব ও সোহেল রানা।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (অপারেশন) আমির আব্বাস, সেকেন্ড অফিসার এসআই মকবুল হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, কনস্টেবল রহিসুল, জসিম ও ডিবির কনস্টেবল সাদ আহমেদসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও সদস্য আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সিজারসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ দু-আড়াইশ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রেফতারের খবর মেলেনি। যদিও সংঘর্ষ ও হামলার সময় সিজারকে পুলিশ ধরেও শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেয় বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী। এছাড়া আলমডাঙ্গা, দর্শনা ও জীবননগরে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালনের খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের আহ্বানে গতকাল সকাল থেকেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন শুরু করে। শেখপাড়াস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে কর্মসূচি পালনের সূচনা করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শরিফ উর জামান সিজার। পূর্বপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শ্রীমন্ত টাউনহলে সমাবেত হতে শুরু করেন। ওখান থেকে শোভাযাত্রা বের করে সেখানেই ফিরে সমাবেশে মিলিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পুলিশ শোভাযাত্রার অনুমতি না দিয়ে শ্রীমন্ত টাউন হলে সংক্ষিপ্ত সমাবেশসহ কর্মসূচি পালনের জন্য মৌখিকভাবে বলে। সদর থানার এসআই মকবুল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শ্রীমন্ত টাউনহলের অদূরে শিল্পকলা একাডেমির মূল গেটের সামনে অবস্থান নেন। ছাত্রদলের শোভাযাত্রা বের করার জন্য জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক বুলা অনুমতি চাইলে পুলিশ তাতে সম্মত না হয়ে ভেতরেই অনুষ্ঠান করার কথা বলেন। বাদ্যযন্ত্র বাজাতে গেলেও পুলিশ বাধসাধে। আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সিজারসহ কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মী পুলিশের কাছে গিয়ে শোভাযাত্রা বের করার অনুমতি চেয়ে না পেলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান শুরু করতেই পুলিশ শক্তি বাড়িয়ে ছাত্রদলের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। প্রথম দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও পুলিশের ওপর পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে। তাতে হিতে বিপরীতে রূপ নেয়। পুলিশদল শ্রীমন্ত টাউন হলের ভেতর ঢুকে বেপরোয়া লাঠিচার্জ শুরু করলে উপস্থিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পালানোর পথ খুঁজতে শুরু করেন। উচু পাচিল পার হতে গেলে কয়েকজনের পা ভেঙে লুটিয়ে পড়ে। পুলিশের লাঠির আঘাতে অনেকেই জখম হয়। আহতদের ভীড় বাড়তে থাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। আহতদের মধ্যে শতাধিক সদর হাসপাতালে এবং অন্যরা স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ উর জামান সিজার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোস্তফা হাসান শান্ত, সদস্য তৌফিক এলাহীসহ কয়েকজনের জখম গুরুতর। এ মন্তব্য করেছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কানিজ নাঈমা। এদিকে ওই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক ওহেদুজ্জামান বুলা ও যুগ্মআহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক মজু। তারা জানান, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পুলিশ র‌্যালি করার অনুমতি দিলেও ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালির অনুমতি দেয়নি। এভাবে ছাত্রদলের ওপর নির্মম অত্যাচার করে সরকার আরেকবার প্রমাণ করলো তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক জানান, পূর্ব অনুমতি না নিয়েই ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছিলো। র‌্যালিতে সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে আহত হয়েছেন সদর থানা পুলিশের ওসি (অপারেশন) আমির আব্বাসসহ টহলে থাকা অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
এদিকে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির একাংশে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ উর জামান সিজার এবং বকুল হোসেনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ের ছাত্রদলের প্রতিরোধের মুখে গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দিতে পুলিশ বাধ্য হয়। পরে বিনা উস্কানিতে শ্রীমন্ত টাউন হলের ভেতরে ঢুকে অবস্থানরত ছাত্রদলে নেতাকর্মীদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করতে থাকে। পুলিশের এ ন্যাক্কারজনক হামলায় জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ উর জামান সিজার, সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক এমএ তালহা, যুগ্মআহ্বায়ক সোহেল আহমেদ মালিক সুজনসহ দুশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। গুরুতর আহতদের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সদস্য মোস্তফা হাসান, তৌফিক, সোহেল, মিশর, জুয়েল, শিপলু, রুবেল, রাজু, সজিব, আলামিন, হাসান, রাহাত হাসান, এমদাদ, লিমন, মামুন, সনি, বেলালসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে জেলা ছাত্রদল এক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। প্রতিবাদসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক এমএ তালহা। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোহেল আহমেদ মালিক সুজন। বক্তারা জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ উর জামান সিজারসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের ওপরে পুলিশের নগ্ন হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দোষী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
পুলিশের নগ্ন হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বিবৃতিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের এই ঘৃণ্য নগ্ন হামলার নিন্দা জ্ঞাপন করে দোষী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
যৌথ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপির ১নং যুগ্মআহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু, যুগ্মআহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, মজিবুল হক মালিক মজু, জেলা বিএনপির সদস্য সরদার আলী হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, বিএনপি নেতা রেজাউল করিম মুকুট, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টু চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি দোষী পুলিশের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
এদিকে, কেদারগঞ্জস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালি বের হওয়ার সময় পুলিশের সাথে বাধায় পড়ে নেতৃবৃন্দ। পরে আলোচনাসভা ও কেককাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদল যুগ্মআহ্বায়ক জাহেদ মো. রাজীব খান। জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক শাহাজান খানের উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান হবি, সদস্য হাজি রবিউল ইসলাম বাবলু, পৌর বিএনপি সভাপতি আওরঙ্গজেব বেল্টু, জেলা যুবদল আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝন্টু।
অপরদিকে ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সানডিয়ান চাউনিজ রেস্টুরেন্টে কেককাটা এবং আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের অন্যতম সদস্য আশিকুল হক শিপুল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের অন্যতম যুগ্মআহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রাজীব। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, অবিলম্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন মিন্টুসহ সকল ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে হামলা ও মামলা বন্ধ করে অবিলম্বে সুুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য বর্তমান সরকার এবং প্রশাসনের উর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ওই আলোচনাসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক হামিদুল হক টুটুল, জেলা ছাত্রদলের সদস্য হামিদ উদ্দিন বাবু, জেলা ছাত্রদলের সদস্য গোলাম শাহরিয়ার বিপ্লব, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুর রশিদ, সরোয়ার হোসেন, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, শমসের শেখ, শাকিল আহমেদ, দেলোয়ার, তামীম, মনিরুল, বাবু, শরীফ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অন্যতম ছাত্রনেতা সাকিব উর রেজা কানন।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদা বাজার সংলগ্ন বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে উপজেলা ছাত্রদল আলোচনাসভার আয়োজন করে। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান মিল্টন। প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান তনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির নেত্রী ছালমা জাহান পারুল, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান মালিথা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ও হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। পৃথক দুটি স্থানে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে দর্শনা পৌর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা ছাত্রদলের সদস্য রকিবুল হাসান ব্রাইট। আলোচনা করেন যুবদল নেতা জালাল উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা রুহিন, মামুন, সবুজ, আরিফ, শাওন, মুফা প্রমুখ। আলোচনা পর্বের আগে কেক কেটে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আব্দুল মান্নান।
সন্ধ্যায় বিএনপি ওপর পক্ষের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভার সভাপতিত্ব করেন, জেলা ছাত্রদলের সদস্য নাসির উদ্দিন খান হাসু। আলোচনা করেন দর্শনা পৌর বিএনপির সহসভাপতি হাবিবুর রহমান বুলেট, বিএনপি নেতা মোমিনুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, যুবদল নেতা ফারুক হোসেন, জালাল উদ্দিন লিটন, সরোয়ার হোসেন, জাহান আলী, ছাত্রদল নেতা বিদ্যুত, আকাশ, রাজু, তরিকুল, মুকিত, তুহিন, রাসেদ, মুন্না প্রমুখ। সভা শেষে কেক কেটে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। বিএনপির আরেকটি পক্ষ সন্ধ্যায় অস্থায়ী বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভার সভাপতিত্ব করেন, জেলা ছাত্রদলের সদস্য রাসেদ আহমেদ সজিব। আলোচনা করেন, দর্শনা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক শরীফ উদ্দিন, শফিউল্লাহ, নাহারুল ইসলাম মাস্টার, যুবদল নেতা জালাল উদ্দিন, আশিক, অপু সুলতান, তারেক জিয়া যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক টুটুল শাহ, রাসেল, তরিকুল, শান্ত, লিংকন প্রমুখ।।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আন্দোলন, সংগ্রাম গৌরবের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭৯ সালের এইদিনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছাত্র রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি এই তিন মূলনীতিকে ধারণ করে উৎপাদনমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তিনটি উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর ছাত্রদল গতকাল বিকেলে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে আলোচনাসভা ও কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেন। ছাত্রনেতা সাগর আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল কাউনাইন টিলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রিসাদ, রাশেদ, সনি, জাহিদুল, সুজন আকাশ ও রাব্বি প্রমুখ। এ সময় প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রদের ওপর করা লাঠি চার্জের নিন্দা জানান।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে জীবননগর উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। ছাত্রদল নেতা হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলেচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা তাজুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রদল নেতা রাহা মালিথা, ভুট্ট, শান্ত, হাসান, মামুন, জিহা, তুষার, জুয়েল, আল ফায়েদ, মুরাদ, রুবলে, সাজ্জাদ, হাবিবুর, নাহিদ, নাজমুল, ফিরোজ, বাপ্পা, শামীম, মেহেদী। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন রুবেল মিয়া।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে জেলা ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে শহরের বোসপাড়ায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে কেক কাটার মধ্যদিয়ে কর্মসূচির সূচনা করা হয়। পরে সেখানে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদল নেতা আহম্মেদ রাজিব খাঁন। বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মারুফ আহম্মেদ বিজন, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ সাইদ আহম্মেদ, সাংগাঠনিক সম্পাদক রোমানা আহম্মেদ, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদল নেতা নাজমুল হোসেন, সাঈদুর সুজন, তপু মোশাররফ, বাবু সাবের, রাজিব শেখ, নওশের আহম্মেদ রনি, মহিদ সোহাগ, আব্দুল্লাহ মামুন, রফিক সিজার, শিমুল বিশ্বাস, মোনায়েম খাঁন, এমএ মাবুদ, রাশেদুজ্জামান রাজনসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাংনী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাংনী উপজেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক আব্দুল হক, উপজেলা যুবদল সভাপতি আক্তারুজ্জামান, উপজেলা বিএনপি দফতর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদল সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, জেলা মহিলা দল যুগ্মসম্পাদক আসমা খাতুন, ছাত্রদল নেতা নাজমুল হোসাইন, উপজেলা ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম, ছাত্রদল নেতা শাহিবুল ইসলাম, হুমায়ন কবির, নাজমুল হোসেন শান্তি, মানিক, জিয়াউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, শাহজাহান, তরিকুল, আশিক প্রমুখ।